বরাক তরঙ্গ, ২৬ ডিসেম্বর : গুরুচরণ কলেজের ১৯৭৯ সালের প্রাক্তন ছাত্রদের সঙ্গে শিলচর ইনার হুইল ক্লাবের যৌথ উদ্যোগে বড়খলার চন্দ্রনাথ পুর, বিক্রমপুর বাগানের অধীনে আটগ্রাম, নতুন লাইন, সোনাছড়া, পানীঘাট ও ইটখলা এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামবাসী দরিদ্র পরিবারগুলোর মধ্যে ২৩৫ জনকে কম্বল এবং ১১০ জনকে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে প্রাক্তন ছাত্ররা তাদের পুরনো বন্ধুত্ব ও স্মৃতিকে সামাজিক কর্মে রূপান্তরিত করে সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালন করেছেন। নিজেদের মধ্যে অর্থ সংগ্রহ করে প্রাক্তন ছাত্ররা এই কম্বল ও শীতবস্ত্র সংগ্রহ করেছিলেন। এই এলাকাগুলোতে চা-শ্রমিক, কৃষক ও দৈনিক মজুর পরিবারগুলো ছাদের নিচে শীতের তাপদাহ সহ্য করছেন।
শুক্রবার এক বিতরণ অনুষ্ঠানে স্থানীয় বাসিন্দারা প্রাক্তন ছাত্রদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বললেন, “এই উষ্ণ কম্বল আমাদের শীতের কষ্ট কেড়ে নিল।”অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি শিবব্রত দত্ত এবং ডাঃ অনুপকুমার দাস তালুকদার, যিনি গুরুচরণ কলেজের প্রাক্তন ছাত্র এবং স্থানীয় সমাজকর্মী। শিবব্রত দত্ত বলেন, “শিলচর ইনার হুইল ক্লাব ও ১৯৭৯ সালের গুরুচরণ কলেজের প্রাক্তন ছাত্র সংস্থার পক্ষ থেকে এই শীতবস্ত্র বিতরণের উদ্যোগের ভূয়সী প্রশংসা। ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার মাধ্যমে সমাজে সঠিকভাবে প্রতিষ্ঠিত হোন।” অনুপকুমার দাস বলেন, “১৯৬৯ সালে একসঙ্গে পড়াশোনা করা বন্ধুত্ব আজ সমাজের প্রতি দায়িত্ব পালনে রূপ নিয়েছে। এই উদ্যোগ শিলচর ইনার হুইল ক্লাব ও গুরুচরণ কলেজের আদর্শকে আরও উজ্জ্বল করবে।”শিলচর ইনার হুইল ক্লাবের পক্ষ থেকে সভাপতি অনু পাঠুয়া, জেলা চেয়ারম্যান পিংকি আগরওয়াল এবং সম্পাদক রিতু আগারওয়াল উপস্থিত ছিলেন।
গুরুচরণ কলেজের ১৯৭৯ সালের প্রাক্তন ছাত্রদের মধ্যে অমলেন্দু দে, সুমিত ভূঁইয়া, প্রদীপ পাটুয়া, অভিজিৎ রায়, সর্বেশ্বর নাথ প্রমুখ অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সোসাইটির পরিচালিত শ্রীমা কোচিং সেন্টারের সম্পাদক সুপ্রদীপ দত্তরায়। এই উদ্যোগ সমাজের সচেতন অংশের দায়িত্ববোধের উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।


