ক্রিকেটকে আলবিদা ‘কাছাড় এক্সপ্রেস’ প্রীতমের

ইকবাল লস্কর, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১৩ জুন : ক্রিকেটকে আলবিদা জানালেন ‘কাছাড় এক্সপ্রেস’ প্রীতম দাস। জাতীয় ও আন্তঃজেলা স্তরে এখন থেকে আর খেলতে দেখা যাবে না ৩৬ বর্ষীয় এই পেসার অলরাউন্ডারকে। বৃহস্পতিবার শিলচর ডিএসএ কার্যালয়ে গিয়ে সচিব অতনু ভট্টাচার্যের হাতে একটি চিঠি তুলে দিয়ে অবসর নেওয়ার কথা জানান প্রীতম। এছাড়া আসাম ক্রিকেট সংস্থায় (এসিএ) দীর্ঘ ২০ বছরের কেরিয়ারে ইতি টানার ঘোষণা করলেন তিনি। মূলত কোচিং লাইনে আসার ইচ্ছা রয়েছে প্রীতমের। এর ফলে নিজেকে আর খেলোয়াড়ের ভূমিকায় রাখছেন না। তবে ক্লাবস্তরে নিয়মিত ক্রিকেট খেলার ইচ্ছা রয়েছে বলে প্রীতম সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন।

কেরিয়ারে মোট ১২৬টি বিসিসিআই স্বীকৃত ম্যাচ খেলেছেন প্রীতম দাস। যার মধ্যে রনজি ট্রফিতে ১৬ ম্যাচে ২৯ উইকেট, বিজয় হাজারে ট্রফিতে ৫৪ ম্যাচে ৯১ উইকেট এবং সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি টি-টোয়েন্টিতে ৫৬ ম্যাচে ৬৪ উইকেট নিয়েছেন প্রীতম। বিজয় হাজারে ট্রফিতে ব্যাট হাতে হাফ সেঞ্চুরিও রয়েছে তাঁর। তবে গত বছর হঠাৎ করে প্রীতমকে ছেটে ফেলে আসাম ক্রিকেট সংস্থা। দীর্ঘদিন যে ক্রিকেটারটি রাজ্য দলে সার্ভিস দিল, তাঁকে একটা বিদায়ী ম্যাচ খেলার সুযোগ পর্যন্ত দেওয়া হল না।

ক্রিকেটকে আলবিদা 'কাছাড় এক্সপ্রেস' প্রীতমের

২০২২ এবং ২০২৩ সালে নুরুদ্দিন ট্রফি দলে শিলচরের অধিনায়ক ছিলেন প্রীতম। প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন হলেও সেমিফাইনাল ও ফাইনাল ম্যাচে খেলতে পারেননি তিনি। এবার অবশ্য সাধারণ ক্রিকেটার হিসেবেই খেলতে গিয়েছিলেন ডিফুতে। বৃষ্টির জন্য শিলচর দল দুর্ভাগ্যজনকভাবে ছিটকে যায়। এর ফলে রাজ্য চ্যাম্পিয়ন হয়ে অবসর নেওয়ার স্বপ্নটাও পূরণ করতে পারলেন না শিলচরের ক্রিকেটের এই উজ্জ্বল তারকা।

উল্লেখ্য, তারাপুর দুর্গানগর এলাকার জিএমসি ক্লাবের মাধ্যমে ২০০০ সালে শিলচর তৃতীয় ডিভিশন ক্রিকেটে খেলা শুরু করেন প্রীতম। পরের বছর গোয়ালপাড়ায় আর জি বরুয়া ট্রফি অনূর্ধ্ব ১৭ ক্রিকেট দিয়ে শিলচর জেলা দলে অভিষেক। ২০০২ সালে নূর্ধ্ব১৫ পলি উমরিগড় ট্রফিতে আসামের হয়ে প্রথমবার খেলার সুযোগ পান প্রীতম। ২০০৭ সালের জানুয়ারিতে কটকে উড়িষ্যার বিরুদ্ধে রনজি ট্রফিতে নিজের অভিষেক ইনিংসেই নিলেন পাঁচ উইকেট। নজর কাড়া এই সাফল্যের জন্য ডাক আসে ইন্ডিয়ান ক্রিকেট লিগে (আইসিএল)। লোভনীয় অফার লুফে নেন প্রীতম। বিসিসিআই তাঁকে ব্যান করে। পরে আইসিএল বিলুপ্ত হলে মূল স্রোতের ক্রিকেটে ফিরে এসে সুনামের সঙ্গে খেলতে থাকেন প্রীতম। সাদা বলের ক্রিকেটে, অর্থাৎ ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এক সময় আসামের সেরা বোলার ছিলেন তিনি। তবুও যতটা সুযোগ পাওয়ার কথা, ততটা পাননি প্রীতম।

Author

Spread the News