৫০ বছর পর বিশ্বকর্মা পুজোয় ঘটতে চলেছে বিরল রাজযোগ
বরাক তরঙ্গ, ১৭ সেপ্টেম্বর : প্রায় ৫০ বছর পর বিরল রাজযোগ ঘটতে চলেছে এ বছরের বিশ্বকর্মা পুজোয়। বিশ্বকর্মার পূজা প্রতি বছর ভাদ্রপদ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়া তিথিতে পালিত হয়। অর্থাৎ বিশ্বকর্মা পূজা প্রতি বছর কন্যা সংক্রান্তির দিনে হয়।
দেওঘরের জ্যোতিষী পণ্ডিত নন্দকিশোর মুদগল news18 বাংলায় জানিয়েছেন, চলতি বছর বিশ্বকর্মা পুজোয় প্রায় ৫০ বছর পর বিরল রাজযোগ ঘটতে চলেছে৷ বিশ্বকর্মা পুজোর শুভ সময় এবং কখন, কোন বিশেষ কাকতালীয় ঘটনা ঘটবে তা জানিয়েছেন দেওঘরের জ্যোতিষী পণ্ডিত৷
জ্যোতিষী পণ্ডিত নন্দকিশোর মুদগল জানান, ৫০ বছর পর বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে এমন একটি শুভ যোগ তৈরি হচ্ছে, যা বিশ্বকর্মা পুজোর গুরুত্বকে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। জ্যোতিষীর মতে, এবার ৫০ বছর পর বিশ্বকর্মা পুজোর দিনে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ, অমৃত সিদ্ধি যোগ, দ্বিপুষ্কর যোগ ও ব্রহ্ম যোগ তৈরি হচ্ছে। এটা খুবই বিরল কাকতালীয় ঘটনা। এই দিনে ভগবান বিশ্বকর্মার পুজো করলে ব্যবসা, নির্মাণ প্রভৃতি ক্ষেত্রে যাবতীয় সমস্যা দূর হবে।
জ্যোতিষী পণ্ডিত নন্দকিশোর মুদগল আরও জানিয়েছেন, সকাল ৯-৪৪ থেকে পুজোর শুভ সময় শুরু হচ্ছে। দুপুর ১২টা ৫৫ মিনিট পর্যন্ত থাকবে। এই সময়ে সর্বার্থ সিদ্ধি যোগ হতে চলেছে। এই সময়েই বিশ্বকর্মা পুজো করলে দারুণ ফল পাওয়া যাবে
উল্লেখ্য, হিন্দুধর্মে বিশ্বকর্মা পুজোর গুরুত্ব অপরিসীম। স্বয়ম্ভূ এবং বিশ্বের স্রষ্টা হিসেবে মনে করা হয় তাঁকে। বলা হয়, কৃষ্ণের রাজধানী দ্বারকা শহরটি নির্মাণ করেছিলেন তিনি। এছাড়াও রামায়ণে বর্ণিত লঙ্কা নগরী, পাণ্ডবদের মায়া সভা, রামায়ণে উল্লিখিত ব্রহ্মার পুষ্পক রথ, দেবতাদের বিভিন্ন গমনাগমনের জন্য বিভিন্ন বাহন, দেবপুরী এবং বিষ্ণুর সুদর্শন চক্র, শিবের ত্রিশূল, কুবেরের অস্ত্র, ইন্দ্রের বজ্র, কার্তিকের শক্তি সহ দেবতাদের জন্য বহু কল্পিত অস্ত্রের স্রষ্টা বিশ্নকর্মা।
এ দিকে, বিশ্বকর্মাকে ঘিরে শিলচরের বাজারও গরম হয়ে উঠছে। ফলমূল সহ বিশ্বকর্মার মূর্তি কিনতে বাজারমুখী অনেকেই। আকাশচুম্বী দ্রব্য মূল্যের মধ্যে নিজের সাধ্যমত আয়োজনের কেনাকাটা করতে ব্যস্ত লোকরা। এ দিকে, বিশ্বকর্মা পূজা থেকেই শুরু হয় দুর্গোৎসবের আমেজ। শুরু কাউন্টডাউন।