২২ নভেম্বর : দুবাইয়ের এয়ার শোয়ে দুর্ঘটনাগ্রস্ত বিমানটি চালাচ্ছিলেন ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কম্যান্ডার নমংশ সিয়াল। হিমাচল প্রদেশের কাংড়া জেলার বাসিন্দা। বয়স মাত্র ৩৪ বছর। যুদ্ধবিমান চালানোর বিষয়ে অত্যন্ত পারদর্শী। তাঁর শান্ত ধীর ব্যক্তিত্ব পছন্দ করতেন সবাই।
উইং কম্যান্ডারের বাবা জগন্নাথ বলেন, ‘আমি ছেলের সঙ্গে শেষ কথা বলেছিলাম বৃহস্পতিবার। ও আমায় টিভি বা ইউটিউবে দুবাই এয়ার শোয়ে ওর পারফরম্যান্স দেখতে বলেছিল।’ তিনি আরও বলেন, ‘শুক্রবার বিকেল চারটের দিকে আমি ইউটিউবে এয়ার শোয়ের ভিডিয়ো খুঁজছিলাম, যখন আমি (তেজস) বিমান দুর্ঘটনার খবর দেখি। আমি তৎক্ষণাৎ আমার পুত্রবধূকে ফোন করি। কিছুক্ষণ পরে ভারতীয় বায়ুসেনার কমপক্ষে ছয়জন অফিসার আমাদের বাড়িতে আসেন। আমি বুঝতে পারি যে আমার ছেলের সঙ্গে খুব খারাপ কিছু ঘটেছে।’ পরে জানতে পারলাম, নমনশের মৃত্যু হয়েছে।” এ কথা বলতে বলতেই কান্নায় ভেঙে পড়েন জগন্নাথ।
তিনি বলেন, ”পড়াশোনায় দুর্দান্ত ছিল নমনশ। অনেক বড় স্বপ্ন ছিল ওর।” হিমাচলের আর্মি পাবলিক স্কুল এবং সৈনিক স্কুল থেকে পড়াশোনা নমংশের। ২০০৯ সালে এনডিএ পরীক্ষায় পাশ করে বায়ুসেনায় যোগ দেন। তাঁর স্ত্রীও একজন উইং কমান্ডার। কলকাতায় প্রশিক্ষণ নিয়েছেন তিনি। নমংশেরা তামিলানাড়ুর কোয়েম্বত্তূরে থাকেন। তাঁর বাবা এবং মা সপ্তাহ দুয়েক আগে কোয়েম্বত্তূরে আসেন। তাঁদের একমাত্র নাতনির দেখাশোনা করছিলেন। সেই সময়েই তাঁদের কাছে নমংশের মৃত্যুর খবর আসে।


