২৭ ডিসেম্বর : যুদ্ধের ময়দান থেকে কূটনীতির টেবিল—উত্তেজনা এখন তুঙ্গে। একদিকে যখন যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে ভলোদিমির জেলেনস্কির আসন্ন হাই-প্রোফাইল বৈঠক ঘিরে বিশ্বজুড়ে জল্পনা তুঙ্গে, ঠিক তখনই শনিবার ভোরে একের পর এক শক্তিশালী বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ইউক্রেনের রাজধানী কিভ। ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্রের সাঁড়াশি আক্রমণে কিভের আকাশ যখন কমলা রঙে ভরে উঠছে, তখন ফের একবার যুদ্ধের ভয়াবহতা প্রত্যক্ষ করল বিশ্ববাসী।
ভোররাতের তাণ্ডব ও আকাশ প্রতিরক্ষা: শনিবার ভোরে ইউক্রেনের বিমানবাহিনী প্রথম সতর্কবার্তা দেয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় জানানো হয়, দেশের একাধিক অঞ্চল সহ কিভের আকাশে রুশ ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র শনাক্ত করা হয়েছে। এর পরপরই কিভের মেয়র ভিতালি ক্লিচকো টেলিগ্রামে জরুরি বার্তা দিয়ে বলেন, “রাজধানীতে বিস্ফোরণ হচ্ছে। আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করছে। সবাই দ্রুত বাঙ্কারে আশ্রয় নিন।” প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে জোরালো বিস্ফোরণের শব্দ পাওয়া গেছে। একাধিক সামরিক টেলিগ্রাম চ্যানেলের দাবি, ক্রুজ মিসাইলের পাশাপাশি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়েও হামলা চালিয়েছে মস্কো।
কূটনৈতিক বার্তা নাকি সামরিক চাপ? রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই হামলার সময়কাল অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। মাত্র দু’দিন পরই ফ্লোরিডায় ডোনাল্ড ট্রাম্পের মুখোমুখি হতে চলেছেন জেলেনস্কি। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে সংঘর্ষ শুরুর পর থেকে এই যুদ্ধ ইউরোপের সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে পরিণত হয়েছে। ট্রাম্প প্রশাসনের মধ্যস্থতায় ২০ দফার একটি শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে যে আলোচনা চলছে, এই বৈঠকেই তার খুঁটিনাটি চূড়ান্ত হওয়ার কথা।


