বাঁশকান্দির খতমে বোখারিতে জনসমুদ্র
কেএ লস্কর, লক্ষীপুর।
বরাক তরঙ্গ, ৯ ফেব্রুয়ারি : বাঁশকান্দিতে জনসমুদ্র। দারুল উলুম মাদ্রাসার খতমে বোখারিতে লক্ষাধিক লোকের সমাবেশ ঘটল। রবিবার বাঁশকান্দি দারুল উলুমের বার্ষিক এনামি জলসা ও দস্তারবন্দি অর্থাৎ বোখারি খতম অনুষ্ঠিত হয়। বিনা প্রচারের আয়োজন সত্ত্বেও লোকে লোকারণ্য দারুল উলুমের বোখারি খতমের অনুষ্ঠান। মহফিলে সভাপতিত্ব করেন বাঁশকান্দি দারুল উলুম মাদ্রাসার শেখুল জামিয়া, মহতমিম তথা উত্তরপূর্ব ভারতের আমিরে শরিয়ত শ্বেখ মওলানা ইয়াহইয়া। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশ রাজ্য জমিয়ত উলামা হিন্দের সভাপতি তথা শাহি মোরাদাবাদ মাদ্রাসার মহতমিম মওলানা সৈয়দ আশহাদ রশিদি। অনুষ্ঠানে বিশিষ্টদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অসম রাজ্য় জমিয়তের সভাপতি তথা প্রাক্তন সাংসদ মওলানা বদরুদ্দিন আজমল, বিলাসিপাড়ার বিধায়ক তথা রাজ্য় জমিয়তের সাধারণ সম্পাদক হাফিজ বসির আহমদ কাসিমি, বিধায়ক লফিকুল ইসলাম বহু ইসলাই পণ্ডিত ব্যক্তিবর্গ, জমিয়ত উলামা হিন্দের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। দারুল উলুমের বোখারি খতমের অনুষ্ঠানে দেশের বর্তমান সংকট নিয়ে বক্তব্য রাখেন বিধায়ক হাফিজ বসির আহমদ।

তিনি বলেন, দেশের মানুষ বর্তমানে চরম সংকটের মুখে। ধর্মীয় উৎপীড়ন চলছে। শারীরিক, মানসিক নির্যাতনের শিকার সংখ্যালঘু জনগণ। বিভিন্ন বিষয়ের উপর আলোকপাত করে এই মহতি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সারা অসম তানজিম মাদারিসে কৌমিয়ার সাধারণ সম্পাদক মওলানা আব্দুল কাদির, মওলানা লুকমান কাসিম, প্রাক্তন আইএএস অফিসার ইমতিয়াজ আলি, মওলানা আব্দুর রসিদ,মওলানা মুফতি মোহাম্মদ আলি, মওলানা নসিব উদ্দিন কাসিম প্রমুখ। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধান অতিথি মওলানা সৈয়দ আশহাদ রাশিদি ঐক্যের উপর জোর দেন। তিনি বলেন সবাইকে প্রথমে মানুষ হতে হবে।প্রকৃত মানবতা অন্তরে সৃষ্টি করতে হবে। তবেই হবে জীবন ধন্য।

এদিনের বোখারি খতমের অনুষ্ঠানে মাদ্রাসার মওলানা বিভাগে ৩৩ জন, মুফতি বিভাগে ১৪ জন, তফসির বিভাগে ১০ জন, কারি বিভাগে ৯ জন, হাফিজ বিভাগে ৪৩ জন। মোট ১০৯ জন চুড়ান্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের পাগড়ি ও সনদ প্রদান করা হয়। বিশিষ্ট উলামায়ে কেরামরা তাদের মাথায় পাগড়ি পরিয়ে দেন। বিভিন্ন বিষয়ে কৃতিত্ব প্রদর্শন করা মাদ্রাসা ছাত্রদের এই অনুষ্ঠানে পুরস্কৃত করা হয়।