রাজ্যে তিনটি নতুন ট্রেনের সূচনা রেলমন্ত্রী অশ্বিনীর

আইটি এবং ইলেকট্রনিক্স বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন হবে : হিমন্ত

বরাক তরঙ্গ, ৩ জানুয়ারি : অসমের জন্য তিনটি নতুন ট্রেনের সূচনা করেছেন কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব। শুক্রবার অনুষ্ঠানে মন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব বলেন, “উত্তর-পূর্ব ভারতের নতুন চালিকাশক্তি। উত্তর-পূর্বাঞ্চল হল দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নতুন চালিকাশক্তি। অসমে প্রচুর শক্তি রয়েছে। অসমের যুবসমাজ প্রস্তুত। 

রাজ্যে তিনটি নতুন ট্রেনের সূচনা রেলমন্ত্রী অশ্বিনীর

অনুষ্ঠানে কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “অসমে আইটি এবং ইলেকট্রনিক্স বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা হবে। ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড ইনফরমেশন টেকনোলজি (এনআইইএলআইটি)-এর নামকরণ করা হবে ভুপেন হাজরিকার নামে। এনআইইএলআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সারা দেশে ১১টি ক্যাম্পাস থাকবে। সেখানে একটি ক্যাম্পাস স্থাপন করা হবে। বৈদ্যুতিন উৎপাদনে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জার্মানিতে উৎপাদিত পণ্যগুলি অসমে তৈরি করা হবে। রেলের উন্নয়নে ১০ হাজার কোটি টাকা দিয়েছে কেন্দ্র।

রাজ্যে তিনটি নতুন ট্রেনের সূচনা রেলমন্ত্রী অশ্বিনীর

মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা আরও বলেন, “২০২৫ সালের শুরুতে এত উপহার দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে অনেক ধন্যবাদ। ২৫ ফেব্রুয়ারি আমি আরও একবার অসমের কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। প্রধানমন্ত্রী মোদি ২০৪৭ সালে উন্নত অসম গড়ে তোলার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এটি হবে প্রযুক্তির উপর ভিত্তি করে। তার জন্য সেমি কন্ডাক্টর প্রকল্প আসছে। আমাদের দক্ষ জনবলের প্রয়োজন। ভারত এখন সেমি-কন্ডাক্টর পাওয়ার হাউসে পরিণত হতে চলেছে। অসমের লামডিং-এ ডাবল ট্র্যাকের কাজ শুরু হয়েছে। জগিরোডের এনআইইএলআইটি বিশ্ববিদ্যালয় নতুন আলোর আলোকবর্তিকা হবে, যেখানে ইলেকট্রনিক্স, এআই, আইটি শেখানো হবে। প্রযুক্তিগত বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে কোনও আন্দোলন হয়নি। কোনও পক্ষই অভিযোগ করেনি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী এটা নিয়ে ভেবেছেন। তথ্যপ্রযুক্তি আমাদের হাতে। এখন আমাদের আকাশের দিকে তাকাতে হবে।

রাজ্যে তিনটি নতুন ট্রেনের সূচনা রেলমন্ত্রী অশ্বিনীর

আজ যে তিনটি ট্রেনের যাত্রার সূচনা করা হয়েছে সেগুলি হল গুয়াহাটি-নিউ লখিমপুর জনশতাব্দী এক্সপ্রেস, নিউ বঙাইগাঁও-গুয়াহাটি প্যাসেঞ্জার এবং তিনসুকিয়া-নাহারলাগুন এক্সপ্রেস।

Author

Spread the News