লক্ষীপুরে নিখোঁজ ফেরিওয়ালার লাশ উদ্ধার, পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

লক্ষীপুরে নিখোঁজ ফেরিওয়ালার লাশ উদ্ধার, পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

কেএ লস্কর, লক্ষীপুর।
বরাক তরঙ্গ, ৭ নভেম্বর : লক্ষীপুর থানা এলাকার জুজাং পাহাড়ে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে নিখোঁজ বিড়ি ফেরি রাহুল শেখ (৩০) এর মৃতদেহ উদ্ধার। বৃহস্পতিবার বিকেলে এই জুজাং পাহাড়ের অনুমান পাঁচশো মিটার নিচ থেকে গর্তে পুতে রাখা অবস্থায় রাহুলের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। গত ৪ নভেম্বর সোমবার বিকেল আড়াইটা নাগাদ রাহুল শেখ জুজাং য়ের জাতীয় সড়ক থেকে নিখোঁজ হয়েছিলেন। লক্ষীপুর পুলিশের কোন রকম সাহায্য সহযোগিতা ছাড়া রাহুলের বাবা আব্দুল হেলিম শেখ নিজস্ব লোকদের সহযোগিতায় তন্নতন্ন করে খোঁজ করে গর্তে পুতে রাখা ছেলে রাহুলের মৃতদেহ উদ্ধার করেন। মৃত রাহুলের বাবা ঘটনার দিনই রাহুলকে অপহরণ করে খুন করার সন্দেহ করে দুজনের নামে লক্ষীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। এজাহারে আরেক বিড়ি ব‍্যবসায়ী তসির শেখ ও আবু শেখের নাম উল্লেখ করেন। লক্ষীপুর পুলিশ তছির শেখকে থানায় এনে আবার ছেড়ে ও দেয়।

এনিয়ে চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেন মৃত রাহুলের বাবা আব্দুল হেলিম। উভয় পক্ষের বাড়ি পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলায়। তাঁরা শিলচরে ভাড়া বাড়িতে থেকে বিড়ি ফেরি করতেন।

লক্ষীপুরে নিখোঁজ ফেরিওয়ালার লাশ উদ্ধার, পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ

সোমবার রাহুল ও তছির পৃথকভাবে বিড়ি ফেরি করতে জিরিঘাট বাজারে গিয়েছিলেন। জিরিঘাট বাজারের বিশাল নামের একজন ব‍্যবসায়ীর সামনে রাহুল ও তসিরের ঝগড়া হয়। এরপর রাহুল তার বাইক নিয়ে জিরিঘাট থেকে শিলচরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়ে যান। পিছনে ধাওয়া করেন তছির। এরপর পর থেকেই রাহুল নিখোঁজ। পরে জুজাং পাহাড়ে জাতীয় সড়কে রাহুলের বাইক, বিড়ি ও চটি পাওয়া যায়। রাহুলের পিতা ঘটনার এসব তথ্য জানিয়ে লক্ষীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন। কিন্তু পুলিশ কোন গুরুত্বই দেয়নি বলে অভিযোগ করেন রাহুলের বাবা।পুলিশ গুরুত্ব দিলে ঘটনার পরেই মৃতদেহ পাওয়া যেত বলে ক্ষোভ ব‍্যক্ত করে বলেন তিনি।

Author

Spread the News