অসমের বিভিন্ন দাবিতে দিল্লির যন্তরমন্তর কাঁপালো আমসু
বরাক তরঙ্গ, ১২ সেপ্টেম্বর : দশ দফা দাবি নিয়ে কয়েক শতাধিক আমসু কর্মীরা দিল্লির যন্তরমন্তর কাঁপিয়ে তোলে বৃহস্পতিবার। সারা অসম সংখ্যালঘু ছাত্র ইউনিয়নের উদ্যোগে রাজধানী দিল্লির যন্তরমন্তরে ২ ঘণ্টা অবস্থান ধর্মঘট কার্যসূচি পালন করা হয়। রাজ্যের প্রতিটি জেলা কমিটি থেকে দিল্লিতে আসা কয়েক শতাধিক আমসু কর্মী অসম সরকার হায় হায়, হিটলার মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা হায় হায়, আমাদের দাবি মানতে হবে, ভুমিহীন মানুষের শীঘ্রই সংস্থাপন দিতে হবে, চর অঞ্চলের মানুষের ভুমির পাট্টা দিতে হবে, সংখ্যালঘু ছাত্রছাত্রীদের জন্য স্কলারশিপের টাকা দিতে হবে, সংখ্যালঘু নিধন বন্ধ করতে হবে, হিমন্তের দাদাগিরি চলবে না ইত্যাদি স্লোগান দিয়ে আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে তোলে।
দিল্লিতে অবস্থানরত আমসুর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম সরকার, সাধারণ সম্পাদক মিন্নাতুল ইসলাম ও ইমতিয়াজ হোসেন সহ সাংগঠনিক সম্পাদক কাজি সাদিক আখতাররা বলেন, বিশেষ করে সংখ্যালঘুদের বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে রাজ্যে গণতান্ত্রিক পদ্ধতির মাধ্যমে বিভিন্ন প্রতিবাদ কার্যসূচি পালন করেছে আমছু, এতে অসম সরকারের টনক নড়েনি, সংবিধানের শপথ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হয়ে বিশেষ এক সম্প্রদায়কে সর্বদা টার্গেট করে নিয়েছেন, এই বৈষম্যের বিরুদ্ধে এবং দশ দফা দাবি নিয়ে রাজধানী দিল্লির যন্তর মন্তর কাঁপিয়েছে আমছু। দাবি পু্রণ না হলে আন্দোলন অব্যাহত থাকবে, সরকার বা কোন ব্যক্তিকে ভয় করে আমসু থামবে না, হিটলারি শাসন বন্ধ করে রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে আমসু সর্বশক্তি দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবে বলে দিল্লির কর্মসূচিতে হুঁশিয়ারি দেন আমসুর কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি রেজাউল করিম সরকার।
দশ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে অসমের বন্যাকে জাতীয় সমস্যা হিসাবে ঘোষণা করা, বন্যা ও ভাঙন কবলিত মানুষের জন্য বিশেষ অর্থনৈতিক প্যাকেজ মঞ্জুর করা, অসমের সংখ্যালঘুদের উপর রাষ্ট্রীয় মদদপুষ্ট অত্যাচার বন্ধ করা, ভূমিহীন নাগরিকদের তাদের বসতভিটা থেকে উচ্ছেদ বন্ধ করা, বিতাড়িত পরিবারগুলিকে আর বিলম্ব না করে পুনর্বাসন দেওয়া, অসমে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের বিচার বিভাগীয় কমিশনের মাধ্যমে তদন্ত করা, অসমের ভূমিহীন মানুষকে তাদের ধর্মীয় ও সামাজিক পরিচয় নির্বিশেষে কোনও পক্ষপাতিত্ব ছাড়াই জমি পাট্টা প্রদান করা, অসমে ডি ভোটার সমস্যা আরও বিলম্ব না করে সমাধান করা আইনের সংবিধিবদ্ধ বিধানগুলি অনুসরণ করে শীঘ্রই এনআরসি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা ও ছাত্র সমাজের উন্নতির জন্য শীঘ্রই সংখ্যালঘু বৃত্তি তহবিল প্রকাশ করা।