বেহাল ভৈরবপুর সড়ক, হালিচারা রোপণ করে প্রতিবাদ, সামিল পড়ুয়ারাও
শীঘ্র সংস্কার না হলে জাতীয় সড়ক অবরোধের হুমকি_____
বরাক তরঙ্গ, ১০ সেপ্টেম্বর : সরকার ও বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের চরম অবহেলায় কাটিগড়ার ভৈরবপুর প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়কটি প্রায় চার বছর ধরে মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। সড়কটি সংস্কারের দাবি বারবার জানানো সত্ত্বেও সংস্কারে পদক্ষেপ করেনি সরকার। এতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে হাজার হাজার ছাত্রছাত্রী সহ জনগণের। সড়ক সংস্কারে কোন উদ্যোগ না নেওয়ায় জনগণের মধ্যে ক্ষোভ পুঞ্জীভূত হয়। মঙ্গলবার পুঞ্জীভূত ক্ষোভের বিস্ফোরণ ঘটে। বেশ কয়েকটি স্কুলের হাজার অধিক পড়ুয়া সহ বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মকর্তারা রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ দেখালেন। তাঁরা সড়কের উপর হালি চারা রোপণ করে প্রতিবাদ জানান। শীঘ্র গণ দাবি পূরণ না হলে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করার হুমকি দেন জনগণ সহ ছাত্রছাত্রীরা।
প্রায় ১৫ হাজার জনগণের ৬ নম্বর জাতীয় সড়কের সঙ্গে সংযোগ রক্ষাকারী ওই সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে বেহাল হয়ে পড়েছে। সড়কটি পুরোপুরি গর্তের দখলে চলে যায়। যান চলাচল তো দুর, হেঁটে যাওয়া মুশকিল হয়ে পড়েছে। সংস্কারের দাবি জানিয়ে লাগাতার মৌখিক ও লিখিত আবেদন নিবেদন করেও বিন্দুমাত্র লাভ হয়নি।
বাধ্য হয়ে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে ভৈরবপুর এমই স্কুল, কান্দিগ্রাম এলপি স্কুল, ৭৮৩ নম্বর আজমারা এলপি স্কুল, ৪৯৪ নম্বর ভৈরবপুর এলপি স্কুল, ১৩ নম্বর ভৈরবপুর এলপি স্কুল, জনকল্যাণ হাইস্কুল, আল ইমরান অ্যাকাডেমি, জনকল্যাণ অ্যাকাডেমি, আল আমান অ্যাকাডেমি, কালাইন উচ্চতর বিদ্যালয়, কালাইন এস আর কলেজ, কালাইন জুনিয়র কলেজ, সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রছাত্রীরা বেহাল সড়কের উপর বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন। অংশ নেন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তৃপ্তি ক্লাব, জনকল্যাণ ক্লাব, যুব ফেডারেশন, যুব উন্নয়ন সংস্থার সর্বস্তরের কর্মী কর্মকর্তারা। তাঁরা গর্তগুলোতে হালিচারা রোপণ করে প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ মাধ্যমে সূর্যকান্ত বৈষ্ণব, প্রমোদ বৈষ্ণব, পার্থ সারথি নাথ, সুভাষ নাথ, তৃপ্তি ক্লাবের সভাপতি রাজ রায়, সম্পাদক প্রবণ নাথ, হৃদয় রায়, জসিম আহমদ খান, আব্দুল মালিক লস্কর, জ্যোতির্ময় নাথ, আব্দুস সবুর, রহিম উদ্দিন লস্কর, বিশ্বজিৎ নাথ, বিদ্যুৎ নাথরা জানান, ২০১৯ সালে ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক থেকে ভৈরবপুর পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ সড়ক যোজনা প্রকল্প থেকে বিশাল অংকের বরাদ্দ অর্থে সড়কটি নির্মাণ করা হয়। গাইডলাইন মতে পাঁচ বছর পর্যন্ত সংস্কার কাজ চালিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও সংস্কার করা তো দূরের কথা কাজের বরাত প্রাপ্ত ঠিকাদার চার বছরের মধ্যে একটিবার ও ওই সড়কের দিকে ফিরে তাকাননি। তাদের শেষ কথা শীঘ্র সড়কটি সংস্কার না হলে জাতীয় সড়ক অবরোধে বসবেন ভুক্তভোগী জনগণ সহ ছাত্রছাত্রীরা।