দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হবার আবেদন হাইলাকান্দিতে দেশভক্তি দিবসে
জনসংযোগ, হাইলাকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ২৮ জুলাই : হাইলাকান্দিতেও রবিবার দেশভক্ত তরুণরাম ফুকনের প্রয়াণ দিবসকে দেশভক্তি দিবস হিসাবে পালন করা হয়। এই উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনার জেলাশাসকের সভাকক্ষে দেশভক্তের জীবন ও কর্ম নিয়ে এক আলোচনা চক্র অনুষ্ঠিত হয়। ডিডিসি অ্যালডাড ফাইরেম এর পৌরোহিত্যে হাইলাকান্দি ডায়েটের প্রবক্তা অনুপমা নিয়োগ দেশভক্তকে জেন্ডার ইকুইলিটি বা অর্থাৎ লিঙ্গ সমতার আইকন হিসেবে বর্ণনা করে ছাত্রছাত্রীদের মন থেকে অন্যায় ভাব সহ্য করতে না-পারার আবেদন জানান। আলোচনা চক্রে মধ্যে অপর নির্দিষ্ট বক্তা হাইলাকান্দি সরকারি ভিক্টোরিয়া মেমোরিয়েল হায়ার সেকেন্ডারি স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত বিষয় শিক্ষক খয়র উদ্দিন আহমেদ দেশভক্তের জীবন দর্শন তুলে ধরেন। এছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে আলোচনা চক্রে অংশ নিয়ে নারায়ণ দেবনাথ, সুশান্ত মোহন চ্যাটার্জি, প্রেমাংশু শেখর পাল, সজল ভট্টাচার্য প্রমুখ তরুণরাম ফুকনের আদর্শে দেশ ভক্তিতে উদ্বুদ্ধ হবার আবেদন জানান।
শুরুতে স্বাগত ভাষণে ডিআইপিআরও সাজ্জাদুল হক চৌধুরী ২০২১ সাল থেকে রাজ্য সরকারের নির্দেশে তথ্য ও জনসংযোগ বিভাগের উদ্যোগে তরুণরাম ফুকনের প্রয়াণ দিবসকে দেশ ভক্তি দিবস হিসাবে পালন করা হচ্ছে বলে জানান। ধন্যবাদসূচক বক্তব্যে এডিসি ত্রিদিপ রায় জানান গত কয়েক বছরে জেলার মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক চূড়ান্ত পরীক্ষার ফলাফলে পাশের হার জেলায় প্রায় দ্বিগুন হওয়ার কৃতিত্ব জেলার শিক্ষক, ছাত্রসমাজ এবং অভিভাবকদের। অনুষ্ঠানে প্রদীপ প্রজ্জলন করে দেশভক্তের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। এছাড়া দেশভক্তের জীবন ও কর্মের উপর জেলা পর্যায়ের তিনটি বিভাগে আয়োজিত রচনা প্রতিযোগিতায় বিজয়ী আটজনকে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কার হিসেবে একটি সার্টিফিকেট এবং মোমেন্টও প্রদান করা হয়। পুরস্কৃতরা হলেন “এ” গ্রুপে কবিতা গোয়ালা, মোর্শিদা খানম মীরা, দেবস্মৃতা দত্ত। “বি”গ্রুপে দোপাটি পাল, শামসুল হক চৌধুরী সোমশ্রী মজুমদার। “সি”গ্রুপে ফারিহা আর সান লস্কর এবং তাহিমা ইয়াসমিন মজুমদার।
এদিকে, গুয়াহাটিতে রাজ্যস্তরের অনুষ্ঠানে রাজ্য পর্যায়ের রচনা প্রতিযোগিতায় ইংরেজি ভাষার জন্য বিশেষ পুরস্কারটি রাজ্যের তথ্য ও জনসংযোগ মন্ত্রী পীযূষ হাজারিকার কাছ থেকে গ্রহণ করেন হাইলাকান্দির উইমেন সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলের ছাত্রী দোপাটি পাল। উল্লেখ্য দোপাটি পাল জেলা স্তরে “বি” গ্রুপে প্রথম স্থান দখল করে। সমগ্র অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন বিশিষ্ট বাচিক শিল্পী শংকর চৌধুরী।