শিবচতুর্দশী সাড়ম্বরে পালন শিলচর ভোলাগিরি আশ্রমে

দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৮ মার্চ : শিলচর রাঙ্গিরখাড়ী স্থিত ভোলাগিরি আশ্রমে বিভিন্ন এই বিভিন্ন স্থান থেকে আগত ধর্মপ্রাণ সনাতনী ভক্তবৃন্দরা সব ধরনের নীয়ম-নীতি মেনে পালন করেন। কাশী থেকে আগত ভোলাগিরি আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী মাধবানন্দ গিরি মহারাজ শিব চর্তুদশী পালনের তাৎপর্য তুলে ধরে বলেন, শাস্ত্র মতে মহাশিবরাত্রির তিথিতে ৪ প্রহরে ভক্তি মনে শিব পুজোর বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। চার প্রহরে মহাদেবের পুজো করলে, ব্যক্তি সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি পায়। পাশাপাশি ধর্ম, অর্থ, কাম ও মোক্ষ লাভ করে। উৎসবটি সারাদিন উপবাস এবং সারা রাত জাগরণকে একত্রিত করে। দিনের আলোর সময়, ভক্তরা তাড়াতাড়ি উঠে এবং একটি আনুষ্ঠানিক স্নান করে। এই অযু করার পরে, তারা দুধ, দই, মধু, ঘি, চিনি এবং জলের নৈবেদ্য দিতে শিবের কাছে নিবেদিত মন্দিরে যাবেন।

সারা ভারতে ঘরবাড়ি ও মন্দিরে শিবের পবিত্র মন্ত্র উচ্চারণ করা হয়: “ওম নমঃ শিবায়।” বিশেষ পূজা অনুষ্ঠিত হয়, যার সময় ধূপ জ্বালানো হয়, প্রদীপ জ্বালানো হয় এবং দিনে ও রাতে তীর্থযাত্রীদের স্রোত চলতে থাকে। এই সবের মাধ্যমে, ভক্তরা পরের দিন সকাল পর্যন্ত একটি পবিত্র উপবাস বজায় রাখে।কাশী থেকে আগত স্বামী চৈতনানন্দ গিরি মহারাজ বলেন, গোটা বিশ্বে হিন্দু সম্প্রদায়ের কাছে পবিত্রতম উৎসবের নাম হল মহা শিবরাত্রি। নাম শুনেই বোঝা যায় এইদিনটি পুরোটাই উৎসর্গ করা হয়েছে শিবকে, যাঁকে ধ্বংসের ইশ্বর, হিন্দু ভগবানের তিন ইশ্বরের মধ্যে যিনি একজন। যাঁর নাম সৃষ্টিকর্তা ব্রহ্মা ও সংরক্ষণের ইশ্বর বিষ্ণুর পরই ভগবান শিব, সমস্ত দুঃখের অবসান হলেন শিব।

শিবচতুর্দশী সাড়ম্বরে পালন শিলচর ভোলাগিরি আশ্রমে

সেদিন অন্যান্যদের উপস্থিত স্বামী অনঘানন্দপুরী মহারাজ, শিলচর ভোলাগিরি আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী ভুবনেশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ, পুরহিত আচার্য রাজু আচারিয়া এবং সহযোগীতায় ছিলেন পরিচালনা কমিটির সম্পাদক ভোলানাথ চৌধুরী, সুশান্ত সেন, কোষাধ্যক্ষ সৌমেন দত্ত চৌধুরী, সদস্য বাপ্পা দত্ত, সুবীর সাহা, সন্তোষ রায়,বাসন্তী রায়, লক্ষ্মী রায় সহ আরো অন্যান্যরা।

Author

Spread the News