ধোয়ারবন্দে ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভা
বরাক তরঙ্গ, ৫ নভেম্বর : ধোয়ারবন্দ নাচঘরে অল আসাম ইলেকট্রিসিটি কনজিউমার্স অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বানে বিদ্যুৎ গ্ৰাহকদের একটি সভা অনুষ্ঠিত হয়। রবিবার আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন এলাকার বিশিষ্ট সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব মাধব ঘোষ। সভার উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করে বক্তব্য রাখেন সুজিত আকুড়া। সভায় সংগঠনের আসাম রাজ্য শাখার অন্যতম আহ্বায়ক হিল্লোল ভট্টাচার্য মুখ্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
তিনি তার দীর্ঘ বক্তৃতায় স্মার্ট মিটার ব্যবস্থা চালুর পেছনে যে বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থার ব্যাক্তিগতকরণের চক্রান্ত জড়িত রয়েছে তা সবিস্তারে তুলে ধরেন। তিনি বলেন গোটা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা দিন দিন বেড়েই চলেছে ফলে কর্পোরেটদের নজর এখন এই খন্ডে অনুপ্রবেশ করে মুনাফা লুটা। অথচ বিদ্যুৎ একটি পরিষেবা তা পণ্য নয় কাজেই পরিষেবা প্রদানের পূর্বে মাশুল সংগ্রহ করা বেআইনি। অথচ এপিডিসিএল কৰ্তৃপক্ষ গ্রাহকদের সম্পূর্ণ অন্ধকারে রেখে স্মার্ট মিটার প্রতিস্থাপন করে একতরফাভাবে প্ৰিপেড মিটারিং ব্যবস্থা চালু করে অধিক মাশুল সংগ্রহে নেমেছে। প্ৰিপেড স্মাৰ্ট মিটার ব্যবস্থা চালুর পর থেকেই জনগণকে লিখিত কোনও বিদ্যুতের বিল দেওয়া হচ্ছে। বিদ্যুতের মাশুল সংক্রান্ত সমস্ত বিষয় অন লাইনে করা হচ্ছে। অথচ গ্রামের বাসিন্দারা অন লাইনে অভ্যস্থ নন। এছাড়াও অগ্রিম টাকা রিচার্জ করার ক্ষমতাও সবার নেই। তাই প্ৰিপেড স্মাৰ্ট মিটার ব্যবস্থা চূড়ান্ত গ্রাহক বিরোধী। আজকের সভায় এছাড়াও বক্তব্য রাখেন মোহন মালা, অনিল বনিক প্রমুখ।
সভায় মোহন মালাকে সভাপতি ও রামকুমার বাকতিকে সম্পাদক মনোনীত করে ৩৮ সদস্য বিশিষ্ট ধোয়ারবন্দ বাজার কমিটি গঠন করা হয়। নবগঠিত কমিটি আগামীতে এই এলাকায় স্মার্ট মিটার না লাগাতে জনগণকে সচেতন করার সিদ্ধান্ত নেয়।