পুলিশের ওপর হামলা, ১০ জন গ্রেফতার লখিমপুরে

বরাক তরঙ্গ, ২৯ ডিসেম্বর : লখিমপুরের বঙালমরায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই তথ্য জানিয়েছেন জেলার জ্যেষ্ঠ পুলিশ সুপার গুণেন্দ্র ডেকা। সোমবার লখিমপুর সদর থানায় আয়োজিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বিষয়টি তুলে ধরে ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেন।

উল্লেখ্য, শনিবার রাতে লখিমপুরের বঙালমরার রমজান চৌমুহনী এলাকায় পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটে। নকল সোনার ব্যবসার সঙ্গে জড়িত এক ব্যক্তিকে ধরতে গিয়ে পুলিশের ওপর ভয়ংকর আক্রমণ চালায় একদল লোক। শতাধিক মানুষ পুলিশ দলের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে এবং আটক করা বাহারুল ওরফে আম্বানি নামের ব্যক্তিকে পুলিশের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়।

এই প্রসঙ্গে পুলিশ সুপার গুণেন্দ্র ডেকা জানান, “পহলগামের নৃশংস ঘটনার পর বাহারুল একটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিল। বিষয়টি পুলিশের নজরে আসার পর তাকে আটক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। রমজান চৌমুহনী এলাকায় বাহারুলের উপস্থিতির আগাম খবর পেয়ে বঙালমরা পুলিশ চৌকির সদস্যরা সাধারণ পোশাকে সেখানে গিয়ে তাকে আটক করেন। কিন্তু সেই সময় একাংশ লোক পুলিশের ওপর আক্রমণ চালায়।”
তিনি আরও বলেন, “উন্মত্ত জনতার হামলায় পুলিশ সদস্যদের পাশাপাশি পুলিশের গাড়ির চালকও আহত হন। হামলাকারীরা আটক করা বাহারুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যায়। ঘটনার পর রাতেই এলাকায় পুলিশ অভিযান চালায়।”

পুলিশ সুপার জানান, পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত ১০ জনকে রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতরা হল সোনাপুর রিজার্ভ গ্রামের আলা উদ্দিন, ইকরামুল হোসেন, গোহাঁই দলনীর ফারুক উদ্দিন আহমেদ, নূর হোসেন, গুলজার হোসেন, রমজান তিনিআলির নজরুল হক, কাজিমুদ্দিন, নদিকার আব্দুল হামিদ, ইসলামপুর বেচাপট্টির বিল্লাল হোসেন এবং ২ নম্বর সোনাপুরের আতাবুর রহমান।

এদিকে বাহারুল ওরফে আম্বানি এখনও পলাতক রয়েছে। পুলিশ সুপারের মতে, পহলগাম সংক্রান্ত ঘটনায় সামাজিক মাধ্যমে আপত্তিকর মন্তব্য করা বাহারুল নকল সোনার ব্যবসার সঙ্গেও যুক্ত। অতীতেও একই ধরনের অপরাধে সে কারাবন্দি হয়েছিল বলে জানান পুলিশ সুপার।
ছবি সৌজন্যে etv Bharat, assam

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *