বরাক তরঙ্গ, ২৯ ডিসেম্বর : পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার স্থায়ী বাসিন্দা ফেরিওয়ালারা জীবিকার তাগিদে শিলচর ও পার্শ্ববর্তী গ্রামসমূহে মশারি, বেডশিট, কম্বল ইত্যাদি বিক্রি করে জীবনধারণ করছেন। কিন্তু কিছুদিন যাবৎ তাদের উপর রাস্তাঘাটে অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীদের দ্বারা বারবার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন চলছে। এই ঘটনায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা। সোমবার প্রায় শতাধিক ফেরিওয়ালা সিপিআই(এম) এমএল-এর নেতৃত্বে শিলচরের এসএসপি’র কাছে স্মারকলিপি জমা দিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে আইনী ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান।প্রতিদিন সকাল প্রায় সাতটা নাগাদ টুকটুকি (ই-রিকশা) গাড়িতে মাল নিয়ে বের হওয়ার পরই মাঝপথে আক্রমণকারীরা তাদের জোরপূর্বক গাড়ি থেকে নামিয়ে নির্যাতন করে। বাংলা ভাষায় কথা বলায় তাদের ‘বাংলাদেশি’ বলে অপবাদ দেওয়া হচ্ছে। এমনকি বৈধ আধার কার্ড ও প্যান কার্ড দেখানোর পরও মারধর চলছে এবং ‘বাংলাদেশি’ তকমা লাগিয়ে অপমান করা হচ্ছে। ফেরিওয়ালারা বলছেন, তারা নিজ রাজ্য ছেড়ে পেটের দায়ে এখানে পরিশ্রম করছেন, কিন্তু এখন জীবন-জীবিকা উভয়ই বিপন্ন।
সোমবার শতাধিক ফেরিওয়ালা সিপিএমএল জেলা সভাপতি হায়দর হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে এসএসপি’র কাছে স্মারকলিপি দিয়ে দোষীদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবি জানান। চৌধুরী বলেন, “গরিব ফেরিওয়ালাদের উপর আক্রমণ বন্ধ করতে হবে, না হলে ব্যাপক আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।” এক ফেরিওয়ালা বলেন, “পেটের জন্য এসেছি, বাংলায় কথা বললেই কেন মার?” ঘটনাগুলো শিলচরের বড় রাস্তায় ঘটছে, যা আঞ্চলিক বৈষম্য ও অভিবাসী শ্রমিকদের নিরাপত্তার প্রশ্ন তুলেছে।


