২৮ ডিসেম্বর : আসানসোল ডিভিশনে লাইনচ্যুত সিমেন্ট বোঝাই মালগাড়ি। বিকট শব্দ করে লাইনচ্যুত হয় ১৯টি বগি। নদীতে পড়ে যায় মালগাড়ির বেশ কয়েকটি কামরা। বাকি কামরাগুলি পাশের লাইনে উল্টে পড়ে ছিল। শনিবার রাত সাড়ে ১১টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটে বিহারের শিমুলতলা স্টেশনের কাছে তেলিয়াবাজার এলাকায় ঘটনাটি ঘটেছে। দুর্ঘটনার জেরে একের পর এক দূরপাল্লার ট্রেন বাতিল। শুধু তাই নয়, একাধিক দূরপাল্লার ট্রেনের যাত্রা পথ নিয়ন্ত্রিত করা হয়েছে। একাধিক দূরপাল্লা এবং লোকাল ট্রেন বিকল্প পথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, সিমেন্টবোঝাই ওই মালগাড়িটি জসিডি থেকে ঝাঝার দিকে যাচ্ছিল। তেলিয়াবাজার হল্ট স্টেশনের কাছে ৬৭৬ নম্বর সেতুর ওপর দিয়ে যাওয়ার সময় আচমকাই সেটি লাইনচ্যুত হয়। সেতুর ওপর থেকে মালগাড়ির বগিগুলি খেলনার মতো ছিটকে পড়ে বরুয়া নদীর জলে। বরাতজোরে বেঁচে যায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত মালগাড়িটির ঠিক পিছনেই আসা ডাউন পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেস। মালগাড়িটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ামাত্রই চালকের তৎপরতায় পূর্বাঞ্চল এক্সপ্রেসকে মাঝপথেই থামিয়ে দেওয়া হয়, ফলে বড়সড় প্রাণহানি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষ নিশ্চিত করেছেন যে, এই দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
উদ্ধারকাজ ও রেলের তৎপরতা: পূর্ব-মধ্য রেলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় লাইন পরিষ্কারের কাজ শুরু হয়েছে। উদ্ধারকাজে গতি আনতে আসানসোল, ঝাঝা এবং মধুপুর থেকে মোট তিনটি ‘রিলিফ ট্রেন’ অকুস্থলে পাঠানো হয়েছে। রেলের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন। তবে কামরাগুলি নদীর জলে পড়ে যাওয়ায় এবং অন্য লাইনে উল্টে থাকায় পরিষেবা পুরোপুরি স্বাভাবিক হতে কিছুটা সময় লাগবে বলে মনে করা হচ্ছে।


