বিহার নির্বাচনে “ভোট চুরির” অভিযোগ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছেন জনগণ : নবীন

বরাক তরঙ্গ, ২৬ ডিসেম্বর : নাগরিকদের অধিকার কেড়ে নিতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন এনডিএ কাউকে দেবে না—গুয়াহাটিতে এ কথা স্পষ্ট করে জানিয়েছেন বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি নীতিন নবীন। অসম রাজ্য বিজেপির কার্যনির্বাহী বৈঠকের উদ্বোধনী ভাষণে তিনি বলেন, ‘ভোটব্যাঙ্ক’-এর রাজনীতির কারণে অনুপ্রবেশের বিষয়টি নিয়ে তৎকালীন সরকারগুলি নীরব ছিল। এই বিষয়টিকে তখন ‘স্বাভাবিক’ বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি ও এনডিএ অবৈধ অভিবাসীদের ফেরত পাঠানোর জন্য কাজ করছে।

বিজেপির জাতীয় কার্যনির্বাহী সভাপতি নবীন বলেন, “নির্বাচনে জয়ী হওয়ার জন্য কিছু মানুষ অনুপ্রবেশের ওপর নির্ভর করে, কিন্তু এনডিএ তা হতে দেবে না। মানুষ নিজেদের সরকার বেছে নেওয়ার স্বাধীনতা পাবে।” তিনি আরও বলেন, যারা এই ভূমি, ত্রিরঙ্গা ও সংবিধানকে ভালোবাসেন, তাঁরাই আমাদের দেশের নাগরিক। ভোটাধিকার, জমি বা প্রাপ্য সুযোগ-সুবিধার ওপর তাঁদের যে অধিকার রয়েছে, তা কেড়ে নিতে দেওয়া হবে না।

দিল্লি ও দিসপুরের পূর্ববর্তী সরকারগুলির প্রসঙ্গ টেনে নবীন বলেন, অনুপ্রবেশের ক্ষেত্রে তারা নীরবতা অবলম্বন করেছিল, যার ফলে প্রকৃত নাগরিকদের অধিকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। “কিন্তু সাধারণ মানুষ এনডিএ ও বিজেপির ওপর আস্থা রেখেছে, এবং আমরা এই অনুপ্রবেশকারীদের ফেরত পাঠানোর জন্য পদক্ষেপ নিয়েছি। এই আস্থার জন্য আমি অসম ও উত্তর-পূর্ব ভারতের জনগণকে ধন্যবাদ জানাই। শুধু সরকার একা এই সাফল্য অর্জন করতে পারে না; জনগণকেও সচেতন হতে হবে,” তিনি বলেন।

সাম্প্রতিক বিহার বিধানসভা নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “ভোট চুরির” অভিযোগ জনগণ দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। আগামী বছর অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া অসম বিধানসভা নির্বাচনের জন্য এনডিএ জোটকে আরও শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে কর্মীদের ভূমিকার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে নবীন জানান, যে কোনও চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য জোট প্রস্তুত। নবীন আরও বলেন, “প্রার্থী যেই হোন না কেন, আমাদের দল ও জোটের জন্য কাজ করতে হবে। আমাদের নেতা অটল বিহারী বাজপেয়ী দেশের সর্ববৃহৎ জোটের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন, আর আমরা সেই ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।” তিনি যোগ করেন, ২০১৬ সাল থেকে রাজ্যে বিজেপি নেতৃত্বাধীন জোট সরকার ক্ষমতায় রয়েছে এবং আগামী নির্বাচনেও ক্ষমতা বজায় রাখার চেষ্টা করা হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *