দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২৫ ডিসেম্বর : যুবসমাজকে আত্মনির্ভর করে তোলার লক্ষ্যে পোদ্দার প্রগতি ফাউন্ডেশন বৃহস্পতিবার শিলচরের অম্বিকাপট্টিতে কম্পিউটার এবং বিউটিশিয়ান কোর্সের ৭০ জন প্রশিক্ষণার্থীর হাতে সার্টিফিকেট তুলে দিয়েছে। এর মধ্যে ৪০ জন কম্পিউটার কোর্স এবং ৩০ জন বিউটিশিয়ান কোর্স সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এই অনুষ্ঠান যুবক-যুবতীদের দক্ষতা অর্জনের মাধ্যমে স্বনির্ভর জীবন যাপনের পথ প্রশস্ত করেছে বলে সকলে একমত। শিলচরের অম্বিকাপট্টি অঞ্চলে অনুষ্ঠিত এই সার্টিফিকেট বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শশি কান্ত চৌঠাইওয়ালা। বিশেষ অতিথি হিসেবে অখিল ভারতীয় বিদ্যার্থী পরিষদের (এবিভিপি) প্রাক্তন রাজ্য সহ-সভাপতি রতনকুমার দাস এবং সেবা ভারতীর দক্ষিণ আসাম প্রান্তের সভাপতি শুভ্রাংশুশেখর ভট্টাচার্য কার্যক্রমকে সমৃদ্ধ করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে ফাউন্ডেশনের প্রতিনিধি বিবেক পোদ্দার স্বাগত বক্তব্য রাখেন।
বিবেক পোদ্দার তাঁর বক্তব্যে বলেন, “এই উদ্যোগ আমাদের ফাউন্ডেশনের মূল লক্ষ্যকে প্রতিফলিত করে। শিক্ষা ও বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মানুষকে ক্ষমতায়িত করা এবং টেকসই জীবিকার পথে প্রয়োজনীয় দক্ষতা প্রদান করাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। যুবক-যুবতীদের স্বনির্ভরতার প্রতি এই প্রচেষ্টা একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।” তিনি আরও জানান, ফাউন্ডেশন ভবিষ্যতেও এই লক্ষ্যে কাজ করে যাবে এবং আরও বেশি প্রশিক্ষণার্থীকে অন্তর্ভুক্ত করার পরিকল্পনা করছে। প্রধান অতিথি শশিকান্ত চৌঠাইওয়ালা তাঁর সম্বোধনে জোর দিয়ে বলেন, “বর্তমান যুগে দক্ষতা অর্জনই যুবসমাজের সবচেয়ে বড় শক্তি। এই ধরনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচি তরুণদের আত্মনির্ভর করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।” প্রশিক্ষণার্থীদের সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানিয়ে তিনি ভবিষ্যতে আরও সক্রিয়তার আহ্বান জানান এবং এই উদ্যোগের প্রসারের জন্য সকলের সমর্থন কামনা করেন।
এবিভিপির প্রাক্তন রাজ্য সহ-সভাপতি রতনকুমার দাস বলেন, “সমাজের প্রান্তিক ও সাধারণ মানুষের জন্য বাস্তবমুখী প্রশিক্ষণ অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। পোদ্দার প্রগতি ফাউন্ডেশনের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয় এবং ভবিষ্যতে আরও বিস্তৃত হওয়া উচিত।” তিনি এই ধরনের কর্মসূচির প্রসারের পক্ষে সকলের সমর্থন চেয়ে নেন।সেবা ভারতীর দক্ষিণ অসম প্রান্তের সভাপতি শুভ্রাংশু শেখর ভট্টাচার্য তাঁর বক্তব্যে উল্লেখ করেন, “শুধু সার্টিফিকেট নয়, এই প্রশিক্ষণগুলি অংশগ্রহণকারীদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে। দক্ষতা উন্নয়নের মাধ্যমে স্বনির্ভর সমাজ গঠনের পথে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।” অনুষ্ঠানে প্রশিক্ষণার্থীদের সাফল্য উদযাপন করা হয় এবং তাদের হাতে কম্পিউটার দক্ষতা ও বিউটি সার্ভিস কোর্সের সার্টিফিকেট তুলে দেওয়া হয়। এই সার্টিফিকেটগুলো ভবিষ্যতে পেশাগত সুযোগের নতুন দরজা খুলে দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিবেক পোদ্দার শেষবারের মতো বলেন, “যুবসমাজের মধ্যে স্বনির্ভরতা ও দক্ষতা উন্নয়নের প্রচেষ্টায় এই অনুষ্ঠান একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।” এই উদ্যোগ বরাক উপত্যকার যুবসমাজের জন্য একটি নতুন আশার আলো জ্বালিয়েছে বলে স্থানীয়রা মনে করছেন।


