বরাক তরঙ্গ, ২৫ ডিসেম্বর : নির্মল সেন চৌধুরী সর্বভারতীয় শ্রীহট্ট সম্মেলনীর ফেডারেশনের বিভিন্ন পদে আজীবন নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব সামলেছেন। বিগত কয়েক বছরে তিনি এই ফেডারেশনের অন্যতম উপদেষ্টা ছিলেন। বহুমুখী এই ব্যাক্তিত্বের প্রয়ানে গভীর শোক জ্ঞাপন করে শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন ফেডারেশন পদাধিকারীরা।
এক শোক বার্তায় শ্রীহট্ট সম্মেলনীর আরেক উপদেষ্টা সাধন পুরকায়স্থ বলেন, যে নির্মল সেন চৌধুরী একজন প্রাজ্ঞ এবং আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্ব ছিলেন। ফেডারেশনের বিভিন্ন উদ্যোগে তিনি সর্বদাই অগ্রনী ভূমিকা নিয়েছেন। যখন যে দায়িত্ব তাঁর হাতে অর্পিত হয়েছে তিনি অত্যন্ত নিষ্ঠার সাথে সেই দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর এই আকস্মিক প্রয়ানে ফেডারেশন এক অন্যতম শুভাকাঙ্ক্ষী কে হারাল। এ ক্ষতি সহজে পূরণ হবার নয়। প্রয়াতের প্রতি এদিন শেষ শ্রদ্ধা জানিয়েছেন শ্রীহট্ট সম্মেলনীর সভাপতি কৃষ্ণা দাস ও সাধারণ সম্পাদক মলয় পুরকায়স্থ। এছাড়া গভীর শোক ব্যক্ত করেছেন শ্রীহট্ট সম্মেলনীর প্রাক্তন সভানেত্রী বিথিকা দেব সহ দক্ষিণ কোলকাতা শ্রীহট্ট সম্মেলনীর সম্পাদিকা শ্রীমতী দীপ্তা দে, প্রদূষ দে, বাপু এন্দো প্রমুখ।
উল্লেখ্য, নির্মল সেন চৌধুরীর জন্ম সিলেট শহরের পুরানলেনের এক বনেদি পরিবারে। অত্যন্ত মেধাবী নির্মলবাবু ১৯৫৬ সালে মেট্রিকুলেশন পরীক্ষায় তৎকালীন পাকিস্তানের মধ্যে চতুর্থ স্থান অধিকার করেছিলেন। পরবর্তীতে এমসি কলেজে শিক্ষা শেষ করে সিলেটে শিক্ষকতায় নিযুক্ত হন। দেশভাগের পূর্বে তিনি স্থায়ী বসবাসের জন্য কোলকাতায় চলে আসেন এবং পরবর্তীতে ভারতের একটি নামী ওষুধ কোম্পানির রিজিওনাল ম্যানেজার পদে কর্মরত হন।
গত ১৬ ডিসেম্বর নির্মল সেন চৌধুরী ৮৬ বছর বয়সে নিজ বাসভবনে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হন। মৃত্যুকালে তিনি রেখে গেছেন তাঁর স্ত্রী নন্দিতা সেন চৌধুরী, একমাত্র কন্যা অনিন্দিতা সেন চৌধুরী ও জামাতা সঞ্জয় মুখার্জিকে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য যে প্রয়াত নির্মল সেন চৌধুরী শিলচরের বিশিষ্ট সামাজিক ব্যাক্তিত্ব তথা গৌহাটি হাইকোর্টের আইনজীবী প্রদীপ দত্তরায়ের ভগ্নিপতি ছিলেন।


