বরাক তরঙ্গ, ২৪ ডিসেম্বর : নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করেন। বুধবার কলাক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের নিয়োগপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী জানান, ১০ জানুয়ারি ADRE-র তৃতীয় শ্রেণির নিয়োগ সম্পন্ন হবে। তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগ প্রদান শেষ হলে মোট নিয়োগপ্রাপ্ত যুবক-যুবতীর সংখ্যা দাঁড়াবে ১ লক্ষ ৬০ হাজার। মুখ্যমন্ত্রী আরও ঘোষণা করেন, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির চাকরিতে ৩ শতাংশ সংরক্ষণ চা বাগান এলাকার জন্য বরাদ্দ থাকবে। এই সংরক্ষণের মাধ্যমে প্রতি বছর ৬–৭ জন করে DSP পদে চাকরি পাবেন। জানুয়ারি মাসে চা বাগান এলাকায় একটি করে হাইস্কুল খোলা হবে। এছাড়া প্রতিটি মেডিকেল কলেজে ৪টি করে পদ সংরক্ষণ থাকবে চা বাগান এলাকার জন্য। এর ফলে বর্তমানে তুলনায় ১৪টি অতিরিক্ত সংরক্ষিত পদ বৃদ্ধি পাবে। মুখ্যমন্ত্রীর মতে, অন্যান্য জনগোষ্ঠীর মতোই এগিয়ে যাবে চা জনগোষ্ঠীর মানুষ।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, বাগান লাইনের শ্রমিকরা জমির মালিক হতে পারবেন। নিজের নামে জমি থাকলে তারা ব্যাংক ঋণও নিতে পারবেন। আগামী ১০ বছর এই পরিবর্তনের ধারা অব্যাহত থাকলে চা জনগোষ্ঠীর মানুষ অন্যান্য জাতি-গোষ্ঠীর মতোই এগিয়ে যাবে। তিনি চাকরিপ্রাপ্তদের উদ্দেশে বলেন, নিজেদের বাগান ও স্কুলে গিয়ে জানাতে হবে—বাইরে কাজের তুলনায় চা বাগানে বেশি মজুরি দিতে হবে, নচেৎ শ্রমিকরা বাগানের বাইরে কাজ করতে বাধ্য হবে।
নবনিযুক্ত কর্মীদের উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রী বিশেষ উপদেশও দেন। তিনি বলেন, মা-বাবার প্রতি দায়িত্ব কখনও ভুলে যাওয়া যাবে না। হাসপাতালে আসা রোগীদের কাছ থেকে যেন কেউ এক টাকাও না নেয় এবং তাদের পরিবারের সদস্যের মতো আচরণ করা হয়। তিনি আরও বলেন, চাকরির নিয়োগপত্র পাওয়ার আগে আমরাও তাদের মতোই সাধারণ মানুষ ছিলাম।
এদিকে, সামাজিক মাধ্যমে আরেকটি বড় ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানান, ৯ জানুয়ারি ADRE-র চতুর্থ শ্রেণির নিয়োগপত্র বিতরণ করা হবে।
খেরনি পরিস্থিতি প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কার্বি আংলং জেলার পরিবেশে উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে। পাশাপাশি গৌরব গগৈর পাকিস্তান সংযোগ নিয়ে ফের মন্তব্য করেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, “গৌরব গগৈ কোথায় যান, কী করেন তা আমার বিষয় নয়। আমি আমার মতো কাজ করব; কখন প্রতিবেদন দাখিল করতে হয়, আমি জানি।”


