বরাক তরঙ্গ, ২৩ ডিসেম্বর : বাংলাদেশে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের উপর পাশবিক নির্যাতন, মন্দির ধ্বংস, বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়া ও নিরীহ মানুষের হত্যার প্রতিবাদে সরব হলেন আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাকর্মীরা। মঙ্গলবার দুপুরে আসাম বিশ্ববিদ্যালয় অশিক্ষক কর্মচারী সংস্থার (আনটিয়া) উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক প্রতিবাদ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।
এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিভিন্ন বক্তা বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বর্বরোচিত ঘটনার প্রতিবাদে গর্জে ওঠেন। বক্তারা উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশে হিন্দুদের উপর আক্রমণের চরম সীমা পেরিয়ে গেছে। সংখ্যালঘুদের জীবন-সম্পত্তি রক্ষায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে প্রশাসন। ভারতের সামরিক শক্তিবলে স্বাধীনতা অর্জনকারী বাংলাদেশের এমন স্পর্ধা কোনও ভাবেই বরদাস্ত নয়। এবার উপযুক্ত জবাব দিতে হবে।
বক্তারা বাংলাদেশের সঙ্গে আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সব চুক্তি বাতিল করা সহ বাংলাদেশি পণ্য বয়কটের আহ্বান জানান। সেইসঙ্গে স্মারকলিপি প্রদানের মাধ্যমে কেন্দ্র সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাংলাদেশের ওপর চাপ সৃষ্টি করারও জোরালো দাবি জানান। শিক্ষাকর্মীদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অংশ নেন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক অশোক কুমার সেনও। তিনি বাংলাদেশে সংঘটিত ন্যাক্কারজনক ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান।
দেবর্ষি দে’র পরিচালনায় আয়োজিত এই প্রতিবাদ কর্মসূচিতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ভারপ্রাপ্ত নিবন্ধক মনোজ কুমার দে, আনটিয়ার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি লালন প্রসাদ যাদব, ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কিংকর পুরকায়স্থ, প্রাক্তন সভাপতি সাগ্নিক চৌধুরী, ড. পুলক ধর, বিশ্বজিৎ দাস, পৃথ্বীরাজ গোয়ালা, অংশুমান দত্ত, কুতুব উদ্দিন আনসারি, কিশোরকান্তি পাল, অরিজিৎ গোস্বামী, চন্দ্রকান্ত দাস, মিলিরানি পাল প্রমুখ।


