দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২১ ডিসেম্বর : প্রখ্যাত শিক্ষাবিদ ও গবেষক প্রয়াত নবদীপ সিনহার অনূদিত ঐতিহাসিক গ্রন্থ ‘খুমাল পুরাণ’-এর ত্রিভাষিক (বাংলা, ইংরেজি ও বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি) পুনর্মুদ্রণ অনুষ্ঠান শ্রীশ্রী ভুবনেশ্বর সাধুঠাকুর সেবাশ্রম কমিউনিটি হলে অনুষ্ঠিত হল। রবিবার অনুষ্ঠান স্থানীয় সাংস্কৃতিক জাগরণের এক উল্লেখযোগ্য মাইলফলক হিসেবে পরিচিত হয়ে উঠেছে। ‘খুমাল পুরাণ’ একটি অমূল্য ঐতিহ্যবাহী আখ্যান, যা আঞ্চলিক ইতিহাস, সংস্কৃতি ও সাহিত্যের সমৃদ্ধ সঞ্চার। নবদীপ সিনহার গভীর পাণ্ডিত্যপূর্ণ অনুবাদে এই গ্রন্থটি এবার ত্রিভাষিক রূপে প্রকাশিত হয়েছে, যা বিস্তৃত পাঠকসমাজ বিশেষ করে ছাত্রছাত্রী, নবীন গবেষক এবং সাংস্কৃতিক উত্সাহীদের কাছে সহজলভ্য করে তুলেছে।
অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট লেখক যোগেন্দ্র কুমার সিংহ, প্রবীণ সমাজকর্মী ও লেখক বরুণ কুমার সিনহা, প্রখ্যাত সাহিত্যিক মথুরা সিংহ, সম্পাদক সুধন্য সিংহ, প্রদীপ সিনহা, ডাঃ দেবব্রত সিনহা এবং কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা কল্পনা সিংহ উপস্থিত হন। এছাড়া সিনহা পরিবারের সদস্যবৃন্দ, গবেষক, শিক্ষাবিদ, সাংস্কৃতিক কর্মী এবং নবদ্বীপ সিনহার কাজের অনুরাগীরা ব্যাপক অংশগ্রহণ করেন।মণিপুরের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক ও সম্মানিত শিক্ষাবিদ নবদ্বীপ সিনহা শিক্ষা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ে আজীবন অবদান রেখে গেছেন। তাঁর অনুবাদকর্মে ঐতিহ্যবাহী আখ্যানের সংরক্ষণে এক অনন্য সংবেদনশীলতা প্রতিফলিত। অনুষ্ঠানে সিনহা পরিবারের সদস্যরা বক্তব্য রাখতে গিয়ে জানান, “এই ত্রিভাষিক পুনর্মুদ্রণের মাধ্যমে বাবা নবদীপ সিনহার অবদানকে সমকালীন পাঠকদের কাছে প্রাসঙ্গিক করে তোলা হয়েছে। বিশেষ করে আঞ্চলিক ইতিহাস ও সাহিত্যে আগ্রহী ছাত্রছাত্রী ও নবীন গবেষকদের জন্য এটি একটি মূল্যবান সম্পদ। ”আয়োজকদের মতে, এই উদ্যোগ ভাষা, সংস্কৃতি ও ইতিহাসকে সংযুক্ত করে সাহিত্যিক ঐতিহ্য সংরক্ষণ ও উদযাপনের লক্ষ্যে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। তারা প্রত্যাশা প্রকাশ করেন যে, এর ফলে ‘খুমাল পুরাণ’-এর প্রতি নতুন আগ্রহ জাগবে এবং এক অনুপ্রেরণাদায়ক গবেষকের উত্তরাধিকারকে সম্মানিত করা হবে।
অনুষ্ঠানের শেষে গ্রন্থটির প্রতীকী মুক্তি দেওয়া হয় এবং সকলে এর সাফল্য কামনা জানান।এই অনুষ্ঠান শিলচরের সাংস্কৃতিক পরিবেশে নতুন গতি সঞ্চার করেছে বলে মনে করা হচ্ছে। আয়োজকরা জানান, দ্বিতীয় পর্যায়ের অনুষ্ঠান শীঘ্রই অনুষ্ঠিত হবে।


