বরাক তরঙ্গ, ৯ ডিসেম্বর : টানটান উত্তেজনা তো ছিলই, তুঙ্গে ছিল স্নায়ুর চাপও। হাড্ডাহাড্ডি লড়াইর পর অবশেষে জয় হাসিল করে নিলেন দেবাশিস চক্রবর্তী। আসাম বিশ্ববিদ্যালয় অশিক্ষক কর্মচারী সংস্থার সভাপতি হলেন তিনি। অন্যদিকে, সাধারণ সম্পাদক পদেও এবার নতুন মুখ উৎপল দাস। মঙ্গলবার আনটিয়ার নতুন কার্যকরী কমিটির নির্বাচন আয়োজিত হয়। বিপিনচন্দ্র পাল মিলনায়তনে আয়োজিত এই নির্বাচনে এবার সবক’টি আসনেই নতুন মুখের জয় হয়েছে।
সভাপতি পদে দেবাশিস চক্রবর্তী ১৪৫ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। সহ-সভাপতি পদে জয়ী হন লালনপ্রসাদ যাদব। প্রাপ্ত ভোট ১৩৬। সাধারণ সম্পাদক পদে উৎপল দাস ১৪৯ ভোটে বিজয়ী হন। সহকারী সাধারণ সম্পাদক পদে সর্বোচ্চ ২০৫ ভোট পেয়ে কিঙ্কর পুরকায়স্থ নির্বাচিত হন। কোষাধ্যক্ষ পদে অনুপম চৌধুরী ১৪৭ ভোটে এগিয়ে থেকে জয় হাসিল করেন। সহ-কোষাধ্যক্ষ পদে কানু ধর ১৬৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন।
এগারোটি কার্যকরী সদস্য পদে মোট আঠারো জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এর মধ্যে নির্বাচিত হন বিপ্রেশ গোস্বামী (১৩৫), চন্দ্রিমা রায় (১৪৮), দেবর্ষি দে (২০১), হিরণ্ময় মালাকার (১৭৭), জয়দীপ চক্রবর্তী (১৬৪), কিশোর কান্তি পাল (১৯৭), কুতুব উদ্দিন (১৩০), নয়নজ্যোতি মজুমদার (১৪১), রঞ্জিত দাস (২০৬) ও রানুধর রাভা (১৫১)। প্রসঙ্গত, এই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ২৯০ জন। ভোট পড়েছে ২৭৭টি।
এদিন বেলা এগারোটা থেকে ভোটগ্রহণ পর্ব শুরু হয়। প্রিসাইডিং অফিসার অধ্যাপক প্রণব বিহারী মজুমদারের নেতৃত্বে এই পর্ব চলে বেলা তিনটে পর্যন্ত। ভোটদান চলাকালীন সবার সঙ্গে সৌজন্যমূলক সাক্ষাৎ করেন উপাচার্য অধ্যাপক রাজীবমোহন পন্থ। এছাড়াও নির্বাচনী অবজারভার হিসেবে সর্বক্ষণ ছিলেন কলেজ ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের ডিরেক্টর জয়ন্ত ভট্টাচার্য। সাড়ে তিনটে থেকে শুরু হয় গণনার কাজ। রাত প্রায় আটটা নাগাদ বিজয়ীদের নাম ঘোষণা করেন রিটার্নিং অফিসার নিবন্ধক ড. প্রদোষ কিরণ নাথ। এই ঘোষণার পরই বিজয়ীদের হাতে শংসাপত্রও তুলে দেওয়া হয়।


