বরাক তরঙ্গ, ৮ ডিসেম্বর : শিলচর ড্যাফোডিলস স্কুলের পাঁচদিনব্যাপী বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার সূচনা হলো সোমবার এক উৎসবমুখর পরিবেশে। সকালেই মালুগ্ৰাম স্কুল প্রাঙ্গণে বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ সুব্রত দে পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে ক্রীড়া উৎসবের সূচনা করেন। এরপর ছাত্র-ছাত্রী, শিক্ষক-শিক্ষিকা, অশিক্ষক কর্মচারী, অভিভাবক এবং পরিচালনা কমিটির সদস্যদের নিয়ে বর্ণাঢ্য র্যালি মালুগ্ৰাম থেকে ইটখলা ফুটবল গ্রাউন্ডে পৌঁছায়। ঠিক সকাল ১০টায় ক্রীড়া উৎসবের আনুষ্ঠানিক শুভারম্ভ ঘোষণা করা হয়।
উদ্বোধনী ভাষণে চেয়ারপার্সন অমলেন্দু দে ও অধ্যক্ষ সুব্রত দে স্মরণ করেন বিদ্যালয়ের ১৯৯৪ সালের প্রতিষ্ঠা-পর্ব। তারা জানান, শিক্ষা ও সামাজিক কর্মকাণ্ডে সমানতালে এগিয়ে চলা এই প্রতিষ্ঠানের মূল লক্ষ্য সবসময়ই শিক্ষার্থীদের সার্বিক বিকাশ। তাদের মতে, শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলা শরীরচর্চা, শৃঙ্খলা এবং দলগত চেতনাকে বিকশিত করে—যা একজন শিক্ষার্থীর পূর্ণাঙ্গ বিকাশে অপরিহার্য। তাই সব সময়ই স্কুল কর্তৃপক্ষ পড়াশোনার সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ক্রীড়া অনুষ্ঠান আয়োজন করে আসছে।
প্রায় ১২০০ শিক্ষার্থীর অধিকাংশই এবারের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছে। এক দিনে এত সংখ্যক প্রতিযোগিতা সম্পন্ন করা সম্ভব নয় বলে পাঁচদিন ধরে পর্যায়ক্রমে ক্রীড়া ইভেন্টগুলি আয়োজন করা হচ্ছে।

প্রথম থেকে দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের জন্য থাকছে চকলেট রেস, ১০০ ও ২০০ মিটার দৌড়, ক্রিকেট, ফুটবল, দাবা সহ নানা প্রতিযোগিতা। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ১টা পর্যন্ত প্রতিযোগিতাগুলো চলবে। আগামী ১৩ ডিসেম্বর, শনিবার অনুষ্ঠিত হবে বর্ণিল সমাপ্ত অনুষ্ঠান ও পুরস্কার বিতরণী।
স্কুল কর্তৃপক্ষের মতে, এই বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা শিক্ষার্থীদের প্রতিভা বিকাশের পাশাপাশি তাদের মধ্যে আত্মবিশ্বাস, সহযোগিতা ও সুস্থ প্রতিযোগিতার মনোভাব গঠনে অগ্রণী ভূমিকা রাখবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ম্যানেজিং ট্রাস্টি নবেন্দু দে, দিব্যেন্দু দে, ড্যাফোডিলস এডুকেশন ট্রাস্টের সম্পাদক তথা উপাধ্যক্ষ বাবি দত্ত দে। পাশাপাশি শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে ছিলেন লোপামুদ্রা চক্রবর্তী, বর্ণালী ধর, মন্দিরা দত্ত চৌধুরী, জয়া দে, বিভাষ মণ্ডল, বিশাল চক্রবর্তী, শ্যামল দাস, শুভদীপ শুক্লবৈদ্য প্রমুখ ছাড়াও বন্দিতা দ্বিবেদী ও সন্দীপন দত্ত চৌধুরী। ক্রীড়া উৎসব পরিচালনার সম্পূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন পংকজ ছেত্রী, কিরণ শঙ্কর রায়, সন্দীপ কুমার, উত্তম মণ্ডল ও প্রশান্ত ছেত্রী।


