চলছে টাকা গোনা, ১২টি ট্রাঙ্ক ও বস্তা, ব্যাঙ্কে ২ কোটিরও বেশি

৮ ডিসেম্বর : মুর্শিদাবাদে হুমায়ুন কবীরের প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদের জন্য উপচে পড়ল দানপাত্র। মোট ১২টি ট্রাঙ্ক ও বস্তায় জড়ো করা হয়েছে দানের টাকা। এখনও পর্যন্ত ৬টি ট্রাঙ্ক ও বস্তার টাকা গোনা হয়েছে বলে খবর। জানা যাচ্ছে, ৬টি ট্রাঙ্ক ও বস্তার টাকা গোনার কাজ শেষ হয়েছে।

ওই ৬টি ট্রাঙ্ক ও বস্তায় গোনা টাকার মূল্য ৩৭ লক্ষ ৩৩ হাজার, এমনটাই খবর সূত্রের। আরও ৬টি ট্রাঙ্ক ও বস্তার টাকা গোনা এখনও বাকি রয়েছে। শুধু ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে ২ কোটি ১০ লক্ষের বেশি টাকা, দাবি হুমায়ুন কবীরের। বাবরি মসজিদের জন্য দানের টাকা গুনতে ৩০ জন লোককে নিয়োগ করা হয়েছে, দাবি হুমায়ুনের। গতকাল রাত থেকেই যন্ত্র দিয়ে চলছে টাকা গোনার কাজ। সূত্রের খবর, মাঝে টাকা গোনার যন্ত্র বিকলও হয়েছে। তাই আনা হয়েছে আরও টাকা গোনার মেশিন। মসজিদ কমিটির যাঁরা টাকা গোনার কাজে যুক্ত তাঁদের দাবি ট্রাঙ্ক, বস্তা মিলিয়ে মোট ১২টি জায়গায় টাকা নিয়ে যাওয়া হয়েছিল গোনার জন্য।

রবিবার সন্ধে ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত টাকা গোনা হয়েছে। তারপর বন্ধ করে দিতে হয়েছিল কারণ টাকা গোনার যে মেশিন আনা হয়েছিল, তা কাজ করতে করতেই বিকল হয়ে যায়। একটিই মেশিন আনা হয়েছিল গতকাল, এমনটাই জানা গিয়েছে। হুমায়ুন কবীর প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদ নির্মাণের জন্য রাখা দানবাক্সে বিদেশি মুদ্রাও জমা পড়েছে। সেখানে রয়েছে সৌদি আরবের রিয়েল, মালয়েশিয়ার টাকা, বাংলাদেশের টাকা। বিভিন্ন দেশের বৈদেশিক মুদ্রা জমা পড়েছে দান বাক্সে। সেগুলি আলাদা করে রাখা হয়েছে। আরও অনেক নতুন নতুন দানপাত্র পৌঁছচ্ছে হুমায়ুন কবীরের রেজিনগরের বাড়িতে। সব একত্রিত করে ব্যাঙ্কে জমা দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে। ১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে যে অংশে হুমায়ুন কবীরের প্রস্তাবিত বাবরি মসজিদ তৈরি করা হবে সেই ৩ কাঠা এলাকার পাশের জমিতে ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে প্রচুর ইট। স্তূপাকারে পড়ে রয়েছে অসংখ্য ইট। এছাড়াও পাশের অন্যান্য জমিতে পড়ে রয়েছে অন্যান্য নির্মাণ সামগ্রীও। আর তার পরিমাণও প্রচুর। লোহার রড, বালি, টন টন সিমেন্ট, কী নেই সেখানে। আজও গাড়ি নিয়ে এসে অনেকেই দিয়ে যাচ্ছেন দানসামগ্রী। আশপাশের ইটভাটায় ইটের আকাল দেখা গিয়েছে। কিনতে গিয়ে অনেকেই সেখানে ইট পাননি বলে খবর। সব ইট খালি হয়ে গিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *