বরাক তরঙ্গ, ৫ ডিসেম্বর : দীর্ঘদিনের টানা প্রতিবাদের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও ছাত্রসমাজ সম্মিলিতভাবে একজন ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নির্বাচন করেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ধ্রুবকুমার ভট্টাচার্যকে বৃহস্পতিবার রাতে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে নির্বাচিত করা হয়।
এর আগেই একই দিনে তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে পলাতক উপাচার্য শম্ভুনাথ সিং গণযোগাযোগ বিভাগের জয়া চক্রবর্তীকে সম-উপাচার্যের দায়িত্ব দেন। এর পর থেকেই পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে।
অভিযোগ অনুযায়ী, শম্ভুনাথ সিংয়ের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ছিলেন জয়া চক্রবর্তী। তাঁকে দায়িত্ব দিলে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফের অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে—এই আশঙ্কা প্রকাশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশ শিক্ষক ও ছাত্রসমাজ।
এই সিদ্ধান্ত মানতে রাজি হননি বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী ও ছাত্ররা। ফলে বৃহস্পতিবার রাতেই তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ফের উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মী ও ছাত্রসমাজ একত্রিত হয়ে তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ১৯৯৩-এর suo motu ধারায় ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেয়।

এরপর তেজপুর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ধ্রুবকুমার ভট্টাচার্যকে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে মনোনীত করে। সেই অনুযায়ী কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ধ্রুবকুমার ভট্টাচার্য তাৎক্ষণিকভাবে ভারপ্রাপ্ত উপাচার্যের দায়িত্ব গ্রহণ করেন।
এরপর কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ভট্টাচার্য কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে একটি চিঠি লিখে আইনের প্রাসঙ্গিক ধারাগুলির উল্লেখ করে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত করেন।
অন্যদিকে, ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনে ছাত্র-শিক্ষকদের সঙ্গে এক বৈঠকে অংশ নিয়ে ধ্রুব ভট্টাচার্য বলেন, “এটা আমার কাছে এক বড় চ্যালেঞ্জের সময়। আমি ১৯৯৫ সাল থেকে প্রায় ৩০ বছর ধরে এই বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজ করছি এবং প্রতিষ্ঠানটির সম্পর্কে আমি ভালো করেই জানি। আগেও আমি ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। তাই আমি মনে করি, এই সব বিষয় সঠিক পথে এগিয়ে নিয়ে যেতে আমি সক্ষম হব।”


