বরাক তরঙ্গ, ৩ ডিসেম্বর : অসম- মিজোরাম সীমান্ত ঘেঁষা অঞ্চল কর্কটে বুধবার এক ঘরোয়া বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন ধলাই বিধায়ক নীহাররঞ্জন দাস। শেওড়ারতল জিপির প্রত্যন্ত এই অঞ্চলটি এখনও উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে অনেক ক্ষেত্রে বঞ্চিত। জনগণের কাছ থেকে এলাকায় কি কি সমস্যা আছে তা খোলাখুলি জানতে চান বিধায়ক। এলাকাবাসী জানান এখানে রাস্তাঘাট, বিদ্যুৎ, পানীয়জলের জন্য বিভিন্ন অসুবিধার সম্মুখীন হতে হয় তাদের। বিধায়ক স্থানীয় বাসিন্দাদের কথা মনযোগ সহকারে শোনেন এবং সমস্যাগুলি সমাধানের আশ্বাস প্রদান করেন। একই সঙ্গে তিনি জানান যেহেতু পঞ্চায়েতে আমাদের সভাপতি, আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্য ও গ্রুপ সদস্যরা রয়েছেন কাজেই তাদেরকেও সঙ্গে নিয়ে তাদের মাধ্যমে যেসব সমস্যা সমাধান করা যায় এব্যাপারে উদ্যোগ নেবেন।
পরে স্থানীয় বরিষ্ঠ দলীয় কর্মকর্তাদের বাড়িতে গিয়ে তাদের খোঁজ খবর নেন বিধায়ক। এছাড়াও এদিন শ্যামাচরণপুর জিপি ও সোনাছড়া জিপির বেশ কয়েকজন অসুস্থ রোগীর শারীরিক অবস্থার খোঁজ নেন। তাছাড়াও সোনাছড়া জিপির বিনোদনগর চা বাগানের বাসিন্দা প্রয়াত সুরত তাঁতী, ধোয়ারবন্ধ জিপির বাসিন্দা যথাক্রমে বিধু তন্তুবায় ও হেমন্ত রী প্রমুখদের বাসগৃহে গিয়ে তাদের পরিবারবর্গের সাথে সাক্ষাৎ করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করেন এবং প্রয়াত ব্যক্তিদের আত্মার সদগতি কামনা করেন।
এদিন বিভিন্ন স্থানে বিধায়কের সফরসঙ্গী হিসাবে উপস্থিত ছিলেন- বিজেপি ধলাই-নরসিংহপুর মন্ডল সভাপতি সঞ্জয় কৈরী, ধলাই-নরসিংপুর ব্লক আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সভাপতি নির্মল কান্তি দাস, ধলাই-নরসিংপুর মন্ডল সাধারণ সম্পাদক পৃথীশ চন্দ্র দাস, শেওরারতল জিপির আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্য প্রভাত বৈষ্ণব, চান্নিঘাট জিপি সভানেত্রীর প্রতিনিধি দিলীপ কুমার রায়, বিজেপি এসটি মোর্চার জেলা সহ সভাপতি তুষারকান্তি বর্মন, নব কুমার জিডুং, পুর্ণেন্দু বর্মণ, সামাজিক মাধ্যম কোষের আহ্বায়ক কুটন দে, বিশ্বজিত দাস, শিবা শুক্লবৈদ্য, বিজেপি বড়জালেঙ্গা মণ্ডল কমিটির দুই সাধারণ সম্পাদক সুদীপ কুমার ও সুপায়ন চৌধুরী, সোনাছড়া জিপির আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্য হেমন্ত দাস, প্রীতম গোয়ালা, কান্তা দুবে প্রমুখ।


