বিশ্বজিৎ আচার্য, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৩ ডিসেম্বর : অভিযোগ খণ্ডন করে প্রকৃত ঘটনাটি জনসমক্ষে তুলে ধরেন সমাজকর্মী গীতা পাণ্ডে। তিনি জানান, পুরো বিতর্কের সূত্রপাত দাস পদবীর এক মহিলাকে কেন্দ্র করে। কয়েক বছর আগে দ্বিতীয় স্বামীর প্রতারণার অভিযোগ নিয়ে বাবলি দাস ‘ডিজায়ার ফর লাইফের শরণাপন্ন হন। অভিযোগ পেয়ে গীতা পাণ্ডে ও সংগঠনের সদস্যরা স্বামীর পরিবারে গিয়ে বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নেন। পারিবারিক আলোচনায় দ্বিতীয় স্বামী স্বীকার করেন, সম্পর্কের টানাপোড়েন রয়েছে এবং তাঁর কথা শোনেন না। পরে বিচার সভায় বাবলি দাস ক্ষতিপূরণ হিসেবে ১০ লক্ষ টাকা দাবি করলেও সংগঠনের মধ্যস্থতায় ৬ লক্ষ টাকা নির্ধারিত হয়। দ্বিতীয় স্বামী বিহারে থাকা তাঁর দুই কাটা জমি বিক্রি করে ৩ লক্ষ টাকার চেক ও নগদ ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকা ওই মহিলাকে প্রদান করেন। এর প্রমাণও সংবাদমাধ্যমের সামনে তুলে ধরেন গীতা পাণ্ডে।
গীতা অভিযোগ করেন, ঘটনার দুই বছর পর ওই মহিলা এখন একটি অন্য সংগঠনের ছত্রছায়ায় মিথ্যে প্রচার চালিয়ে নতুন করে জলঘোলা করছেন। সেই সংগঠনের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তথ্য পেয়ে তাঁদের বহিষ্কার করেছিলেন গীতা পাণ্ডে। এটাই বিরোধের মূল কারণ বলে দাবি করেন পাণ্ডে। এতে ডিজায়ার ফর লাইফের মহিলা সদস্যদের আত্মসম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।


