‘পাঁচ বছরের এনইপি ২০২০ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা’ শীর্ষক সিম্পোজিয়াম গুরুচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ে

বরাক তরঙ্গ, ৩ ডিসেম্বর : গুরুচরণ বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাকক্ষে বুধবার অনুষ্ঠিত হল “পাঁচ বছরের এনইপি ২০২০ ও ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা” শীর্ষক এক সিম্পোজিয়াম। অনুষ্ঠানে মুখ্য বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও বিদ্যা ভারতীর সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি ডি রামকৃষ্ণ রাও। এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তথা দক্ষিণ আসাম প্রান্ত বিদ্বৎ পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক নিরঞ্জন রায়‌, ড. জগদীন্দ্র রায় চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক, বিদ্যাভারতী পূর্বোত্তর ক্ষেত্র, ড. পবন তিওয়ারি, সাংগঠনিক সম্পাদক, বিদ্যাভারতী  পূর্বোত্তর ক্ষেত্র, নীহারেন্দু ধর, সভাপতি, শিক্ষা বিকাশ পরিষদ সহ বিভিন্ন বিভাগের অধ্যাপক অধ্যাপিকা। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে শিক্ষা বিকাশ পরিষদ ও বিদ্বৎ পরিষদ, দক্ষিণ আসাম প্রান্ত। সিম্পোজিয়ামে এনইপি ২০২০ এর গত পাঁচ বছরের বাস্তবায়ন, সাফল্য, চ্যালেঞ্জ এবং আগামীর রূপরেখা নিয়ে ব্যাপক আলোচনা হয়।

উপাচার্য অধ্যাপক নিরঞ্জন রায় তাঁর বক্তৃতায় বলেন, গুণগত শিক্ষা বলতে শুধুমাত্র পাঠ্য পুস্তকভিত্তিক জ্ঞান নয়, বরং দক্ষতা, মূল্যবোধ, আচরণ, সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা এবং সমাজমুখী মানবসম্পদ তৈরির সামগ্রিক প্রক্রিয়াকেই বোঝায়। শিক্ষার প্রকৃত উদ্দেশ্য হিসেবে তিনি ব্যক্তিত্ব গঠন, চরিত্র নির্মাণ এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি বিকাশকে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান। তিনি আরও বলেন, শিক্ষা কেবল তথ্য নয়, মূল্যবোধ-সমৃদ্ধ ও চরিত্রনির্মাণমূলক হতে হবে‌।

মুখ্য বক্তা ডি রামকৃষ্ণ রাও তাঁর বক্তব্যে বলেন, একজন শিক্ষকের গুণগত মান কেবল বিষয়জ্ঞানেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং আধুনিক শিক্ষাদান পদ্ধতি, যোগাযোগ দক্ষতা, মূল্যবোধ, প্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষমতা এবং শিক্ষার্থী-সহানুভূতিশীল মনোভাবই একজন শিক্ষককে প্রকৃত অর্থে সক্ষম করে তোলে। তিনি নিয়মিত প্রশিক্ষণ, ভারতীয় জ্ঞান ব্যবস্থার সঙ্গে শিক্ষার্থীদের সংযোগ স্থাপন এবং সাংস্কৃতিক শিকড়ের সঙ্গে পরিচিত করানোর প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তিনি আরও বলেন, শিক্ষার মানোন্নয়নের জন্য শিক্ষককে শক্তিশালী করা অপরিহার্য। তাই জাতীয় শিক্ষানীতির কাঠামোর মধ্যে শিক্ষক ক্ষমতায়ন, শিক্ষক উন্নয়ন এবং দক্ষতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেওয়া উচিত।

অনুষ্ঠানে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বিদ্বৎ পরিষদের সংযোজক কৌশিক‌কুমার দে। রাষ্ট্র গানের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। সম্পূর্ণ অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন সংস্কৃত বিভাগের অধ্যাপক কেশব লুইটেল। অনুষ্ঠানের শুরুতে উপস্থিত অতিথিদের দ্বারা প্রদীপ প্রজ্বলনের ও দীপ মন্ত্র পাঠের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *