পিএনসি, হাইলাকান্দি।
বরাক তরঙ্গ, ২ ডিসেম্বর : ভারতবর্ষে প্রতি বছর অগ্রহায়ণ মাসের (মার্গশীর্ষ) শুক্লা একাদশী তিথিতে গীতাজয়ন্তী পালিত হয়। এ উপলক্ষে সোমবার সন্ধ্যা ৬-৩০টায় হাইলাকান্দিতে সংস্কৃত ভারতী দক্ষিণ আসম প্রান্তের হাইলাকান্দি জেলা সমিতির উদ্যোগে স্থানীয় আদি কালীবাড়িতে আয়োজিত হয় এই গীতা শ্লোক আবৃত্তি অনুষ্ঠান। এতে সংস্কৃত ভারতীর পক্ষে উপস্থিত থেকে এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য ও প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃত ভারতী হাইলাকান্দি জেলা সভাপতি সুশান্ত মোহন চট্টোপাধ্যায়, সহ সভাপতি রঞ্জন কুমার ভট্টাচার্য, সম্পাদক অনুপ কুমার ঘোষ, কনৌজ ভট্টাচার্য প্রমুখ।
তাছাড়া অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রদীপ দাস, বেবী ডেকা, দীপিকা ভট্টাচার্য, দীপালি পাল প্রমুখ বিশিষ্ট ব্যক্তিরা। শুরুতে স্বাগত বক্তব্য ও উদ্দেশ্য ব্যাখ্যা করেন অনুপকুমার ঘোষ। তারপর গীতা পাঠের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বক্তব্য রাখেন সুশান্ত মোহন চট্টোপাধ্যায়, রঞ্জনকুমার ভট্টাচার্য এবং কনৌজ ভট্টাচার্য। বক্তারা বলেন, সংস্কৃত ভারতী গত চার দশক থেকে ভারতীয় উপমহাদেশ এবং ইউরোগীয় ভাষার মধ্যে সেতুবন্ধন ও দৈনন্দিন জীবনে সংস্কৃত ভাষার অন্তর্ভুক্তির জন্য নিরলস প্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। ভারতীয় সমাজে জাতি, বর্ণ নির্বিশেষে গীতা শিক্ষার আবশ্যকতা রয়েছে। গীতা শুধু একটি গ্রন্থ নয়, এটি আদর্শ সমাজ গঠনের মূল ভিত্তি। তাই ভারতীয়দের গীতা অধ্যয়ণ একান্ত জরুরী। বক্তব্য অনুষ্ঠানের পর বেবী ডেকার পরিচালনায় শ্রীগুরু গীতা গ্রুপের সাতজন কিশোর কিশোরী ক্রমে জিৎ ডেকা, শাশ্বত পাল, শ্রেয়াংশ আচার্য, কৃতিসুন্দর দেব, ঋদ্ধিমান দে, ভার্গব নন্দী এবং আরুশী ভট্টাচার্য এবারের নির্দিষ্ট করে দেওয়া শ্রীমদ্ভগবদ গীতার দ্বাদশ শ্লোক “ভক্তি যোগ” সমবেত কন্ঠে আবৃত্তি করে। গীতা আবৃত্তির পর ধন্যবাদ জ্ঞপনের মাধ্যমে এদিনের গীতা জয়ন্তী কার্যক্রম শেষ হয়।


