১ ডিসেম্বর : ইজরায়েল ও ফিলিস্তিনের দীর্ঘ দিনের সংঘাতের একমাত্র সমাধান হলো একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা। এ কথা বলেন বিশ্বক্যাথলিক চার্চের নেতা ও প্রথম মার্কিন পোপ লিও। রবিবার লেবাননের উদ্দেশ্যে যাত্রা করার পথে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথোপকথনে পোপ এই মন্তব্যের মাধ্যমে ভ্যাটিকানের অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি জানান, যদিও এই মুহূর্তে ইজরায়েল ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেয়নি, তবুও এটি একমাত্র ন্যায়সঙ্গত সমাধান।
পোপ লিও এই মন্তব্য করেছেন তুরস্ক থেকে লেবাননের উদ্দেশ্যে বিমানে যাত্রা করার সময়। তিনি জানান, ভ্যাটিকান উভয় পক্ষের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রাখছে এবং মধ্যস্থতার মাধ্যমে দুপক্ষকে ন্যায়সঙ্গত সমাধানের দিকে নিয়ে আসার চেষ্টা করছে। এই অবস্থান আসে এমন সময়ে যখন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু ফিলিস্তিনি স্বাধীনতার বিরোধিতা করছেন।
মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ তুরস্কে বিশ্বের ২.৬ কোটি অর্থোডক্স খ্রিস্টানদের আধ্যাত্মিক নেতা ইকুমেনিকাল প্যাট্রিয়ার্ক বার্থোলোমিউ বসবাস করছেন, যা ভিন্ন ধর্মের মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের প্রতীক হিসেবে উল্লেখযোগ্য। পোপ বলেন, “ভিন্ন ধর্মের মানুষরা শান্তিপূর্ণভাবে একসাথে বসবাস করতে পারে। এটাই এমন উদাহরণ যা আমরা বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে প্রত্যাশা করি।”
পোপ লিও সতর্ক করেছেন যে, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে রক্তক্ষয়ী সংঘাত এবং ধর্মের নামে হিংসা মানবজাতির ভবিষ্যৎকে বিপন্ন করছে। তিনি এই ধরনের সহিংসতা কঠোরভাবে নিন্দা জানিয়েছেন। এ বছরের শুরুতে গাজায় ইসরায়েলের সামরিক অভিযানের বিষয়েও তিনি কূটনৈতিক ভাষায় সমালোচনা করেছেন।
লেবাননে পৌঁছানোর পর রাষ্ট্রপতি জোসেফ আউন ও অন্যান্য কর্মকর্তারা পোপ লিওকে স্বাগত জানান। পোপ লিও মঙ্গলবার লেবানন সফর শেষে রোমে ফিরে যাবেন। পোপের এই মন্তব্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে সমর্থন দেওয়ার আহ্বান হিসেবে ধরা হচ্ছে। তিনি আশা প্রকাশ করেছেন, ন্যায় ও শান্তির মাধ্যমে ইজরায়েল ও ফিলিস্তিনের দীর্ঘদিনের সমস্যা সমাধান সম্ভব হবে।
তথ্যসূত্র : রয়টার্স, আল-জাজিরা, খবর : দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকা ডিজিটাল।


