বরাক তরঙ্গ, ২৮ নভেম্বর : চা জনগোষ্ঠীর লোকদের ভূমি-পাট্টা প্রদান বিলকে কেন্দ্র করে আজ অসম বিধানসভায় বিস্তৃত আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনায় অংশ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী ড. হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বলেন, “অসমের জাতীয় জীবনে চা শ্রমিক সমাজের অবদান অতুলনীয়।” তিনি জানান, ২০১৪ সালের পর থেকে চা-বাগানের শিক্ষা ব্যবস্থায় ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় এসে শ্রমিকদের জন্য ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলার উদ্যোগ নেয়, যেখানে প্রায় ৭ লক্ষ অ্যাকাউন্ট খোলা হয়। আগে ৭৫ বছর ধরে শ্রমিকরা নগদে মজুরি পেতেন, এখন সেই মজুরি সরাসরি ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হচ্ছে।
মুখ্যমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, প্রসূতি মায়েদের ১২ হাজার টাকা পর্যন্ত অনুদান দেওয়া হচ্ছে। আগামী জানুয়ারির মধ্যেই চা-বাগান এলাকায় ১০০টি হাইস্কুল শুরু হবে। চা-বাগানের আদর্শ হাইস্কুলগুলি এখন অন্যান্য জনগোষ্ঠীর কাছেও অনুপ্রেরণা হয়ে উঠেছে। বিজেপির সাত বছরে চা শ্রমিকদের দৈনিক মজুরি বৃদ্ধি পেয়ে ২৫০ টাকায় পৌঁছেছে বলেও তিনি জানান।
তিনি বলেন, চা জনগোষ্ঠীর প্রার্থীদের জন্য APSC-তে সংরক্ষণ থাকছে এবং আগামী বছর থেকেই এ সংক্রান্ত নতুন নিয়ম কার্যকর করা হবে। পাশাপাশি চা-বাগানের লাইন এলাকার রাস্তার অবস্থাও এখন উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত হয়েছে।
মুখ্যমন্ত্রী অভিযোগ করেন, কংগ্রেসের আমলে চা-বাগানের এলাকায় শুধু প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। সেখানে প্রাথমিক শিক্ষার বাইরে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে এক ধরনের অঘোষিত বাধা ছিল। তবে ২০১৪ সালের পর চা-বাগানের শিক্ষা ব্যবস্থায় যে আমূল পরিবর্তন এসেছে, তা এখন ফল দিতে শুরু করেছে। বিমুদ্রাকরণের সময়ও বিজেপি সরকার শ্রমিকদের জন্য ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খোলার বিশেষ ব্যবস্থা করেছিল বলে মুখ্যমন্ত্রী দাবি করেন।


