অখিল নিলম্বিত, বিধানসভা প্রাঙ্গণেই ডিটেনশন রুম চাইলেন বিমল

বরাক তরঙ্গ, ২৮ নভেম্বর : অসম বিধানসভায় ডিটেনশন রুম স্থাপনের দাবি তুললেন মন্ত্রী বিমল বরা। তাঁর বক্তব্য, নিলম্বিত (সাসপেন্ড হওয়া) বিধায়কদের জন্য বিধানসভা প্রাঙ্গণেই এমন একটি কক্ষ থাকা উচিত, যেখানে তারা নিলম্বনের পর অবস্থান করবেন এবং বাইরে যেতে পারবেন না। বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের চতুর্থ দিনে তিনি এই প্রস্তাব উত্থাপন করেন।

মন্ত্রী বরা জানান,”বিধানসভায় এমন একটি কক্ষ থাকা উচিত, যেখানে নিলম্বন হওয়ার পর ওই বিধায়ককে রাখা হবে এবং তিনি বাইরে যেতে পারবেন না।”

উল্লেখ্য, শুক্রবার প্রশ্নোত্তর পর্ব চলাকালীন হুলস্থুল পরিস্থিতি সৃষ্টি করার অভিযোগে শিবসাগরের বিধায়ক অখিল গগৈকে সদন থেকে নিলম্বন করা হয়। তাঁর নিলম্বনের পরই মন্ত্রী বিমল বরা ডিটেনশন রুম তৈরির পক্ষে মত দেন।

মন্ত্রী বরা বলেন, “নিলম্বনের পর অতিথি আপ্যায়নের ভালো ব্যবস্থা সহ একটি কক্ষে রাখা উচিত। কিছু সদস্য সদন চলাকালীন অশান্তি সৃষ্টি করেন। নিলম্বনের পর বাইরে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের কাছে ভুল ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। তাই এমন একটি রুম থাকা দরকার, যাতে তাঁরা বাইরে যেতে না পারেন।”

এই প্রসঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতা দেবব্রত শইকিয়া বলেন, “কাকে, কেন এবং কখন নিলম্বন করা হলো—বিধানসভার পক্ষ থেকে এ নিয়ে একটি প্রেস বিবৃতি দেওয়া উচিত।”

এদিকে, নিলম্বন হওয়ার পর সাংবাদিকদের সামনে অখিল গগৈ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বলেন, “আমরা আন্দোলনের মানুষ। বিধানসভার অধ্যক্ষ নিরপেক্ষ হওয়া জরুরি। অধ্যক্ষ নিরপেক্ষ না হলে স্বচ্ছ সরকার সম্ভব নয়।”

তিনি আরও জানান, “সদনে ঢোকার পর দু’মিনিটও হয়নি, আমাকে নিলম্বন করা হলো। আজ আমার প্রশ্ন ছিল—বিজেপির অফিস তৈরির জন্য কত জমি বরাদ্দ করা হয়েছে? কিন্তু আগের প্রশ্নগুলোতে দীর্ঘ উত্তর দিয়ে আমার প্রশ্ন তুলতেই না দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। আমি একটু দেরিতে এসেছিলাম। দ্রুত প্রশ্ন করতে বলা মাত্রই আমাকে নিলম্বন করা হয়।”

মন্ত্রী বিমল বরার মন্তব্যের জবাবে অখিল গগৈ বলেন, “বিমল আগের থেকেই কাঁচাবুদ্ধির মানুষ। আমরা একসঙ্গে পড়েছি। গণতন্ত্র, সংবিধান, আইন—কিছুই বোঝে না। শুধু চাঁদা তোলা ছাড়া ওর অন্য কোনও চিন্তা নেই। তাই মন্ত্রী হলেও গণতান্ত্রিক ভাবনা তার নেই। সংবিধানও সে পড়েনি। তার মানসিকতার মানুষের কাছ থেকে এ ধরনের মন্তব্যই স্বাভাবিক।”

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *