আপডেট…
বরাক তরঙ্গ, ২৪ নভেম্বর : সোমবার সকালে পূর্ব সোনাইয়ের সুন্দরী প্রথম খণ্ড থেকে উদ্ধার হওয়া মহিলার লাশ নিয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। খুনের সন্দেহ ঘনীভূত হচ্ছে। মৃতদেহের মুখে ঢুকানো ছিল পলিথিন, হাত বাঁধা, শরীরের বিভিন্ন অংশে জখম এবং অর্ধ নগ্ন। এতেই সন্দেহ জন্মে তাকে ধর্ষণ করে নৃশংসভাবে হত্যা করা হয়েছে।
এদিকে এলাকাবাসী সহ পরিবারের সদস্যরা প্রথমে ভাবেন হয়তো এটি স্বাভাবিকভাবে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে। খবর দেওয়া হয় পুলিশে। কচুদরম পুলিশ পৌঁছে মৃতদেহ দেখে সন্দেহ হয়। ঘটনার খবরে কাছাড় পুলিশের দুই প্রবেশনারি ডিএসপি ভাস্করশিখা শইকিয়া ও দিলরাজ পাঠক সহ কচুদরম থানার অসি অপূর্ব বরা ঘটনাস্থলে পৌঁছেন। গোয়েন্দা কুকুর দিয়ে চালানো হয় তল্লাশি কিন্তু হাত লাগেনি কিছুই। এদিকে ম্যাজেস্ট্রেট চন্দন কলিতা ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেন। ফরেন্সিক টিমকে ঘটনার ক্লু সংগ্রহ করতে দেখা গিয়েছে।
রবিবার দুপুরে সোনাইর সুন্দরী প্রথম খণ্ডের বাসিন্দা বছর ৫০ এর মনোয়ারা বেগম নিখোঁজ হন। গরুর জন্য ঘাস আনতে গিয়ে নিখোঁজ হন গৃহবধূ মনোয়ারা কিন্তু সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসলেও বাড়িতে না ফেরায় পরিবারের সদস্যরা সহ এলাকাবাসী খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। মধ্য রাত অবধি পার্শ্ববর্তী সোনাই নদী সহ খেতের মাঠ তন্নতন্ন করেও কোনও হদিস পাননি। মৃতের ভাই জানান, এই স্থানে তারা কয়েকবার এসেছেন কিন্তু এমন কিছু দেখা যায়নি। সোমবার সকালে নদীতে তল্লাশি করেন। নৌকা নিয়ে পারে পৌঁছতেই এ খবর তাঁদের কানে পৌঁছে। জানান, বাড়ির মহিলারা মনোয়ারার খোঁজে বের হলে প্রথমে তার পান বাটা পড়ে থাকতে দেখেন। এরপর এই সূত্র ধরে একটু এগোতেই ধানক্ষেতের মাঝে মনোয়ার দেহ দেখতে পান। চিৎকার করলে তারাও দৌঁড়ে আসেন। তার ভাই বলেন, যে অবস্থায় বোনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে তাতে সন্দেহ হচ্ছে কোথাও নিয়ে কুকর্ম সেরে খুন করার পর সেখানে ফেলে দেওয়া হয়েছে। তিনি প্রশাসনের কাছে সঠিক তদন্ত ক্রমে দোষীদের শনাক্ত করে কঠোর শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।


