শিল্পাঙ্গনের রজতজয়ন্তীতে মালুগ্রামে সফলভাবে সম্পন্ন দুই দিনের রেজিন আর্ট কর্মশালা
বরাক তরঙ্গ, ২৮ ডিসেম্বর : শিল্পাঙ্গনের রজতজয়ন্তী বর্ষ উদযাপনের অঙ্গে মালুগ্রামের ড্যাফোডিলস স্কুলে শনি ও রবিবার দুই দিন ধরে অনুষ্ঠিত প্রথমবারের রেজিন আর্ট কর্মশালা শুভারম্ভে সমাপ্ত হয়েছে। এই অঞ্চলের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে প্রায় ২০ জন শিল্পী অংশগ্রহণ করে আধুনিক শিল্পকলার এই নতুন ধারায় নিজেদের দক্ষতা বাড়িয়েছেন। শিল্পাঙ্গনের উদ্যোগে আয়োজিত এই কর্মশালা স্থানীয় শিল্পীদের জন্য একটি মাইলফলক গড়ে তুলেছে। রেজিন আর্ট হল একটি সমসাময়িক শিল্পকলার ধারা, যেখানে তরল ইপোক্সি বা পলিয়েস্টার রেজিনকে প্রধান মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করে বিভিন্ন শৈল্পিক সৃষ্টি তৈরি করা হয়। শুকানোর পর এই রেজিন কাঁচের মতো শক্ত, স্বচ্ছ এবং চকচকে ফিনিশ প্রদান করে, যা চিত্রকর্ম, গয়না, কোস্টার, টেবিলটপ সজ্জা এবং অন্যান্য সামগ্রী তৈরিতে অত্যন্ত জনপ্রিয়।

শিল্পীরা রেজিনের সঙ্গে রঙ, গ্লিটার, ফুলের পাপড়ি, শেল বা অন্যান্য উপকরণ মিশিয়ে অসাধারণ নকশা তৈরি করেন, যা দর্শকদের মুগ্ধ করে।কর্মশালার রিসোর্স পার্সন স্নেহা সিংহ বলেন, “রেজিন আর্টের আকর্ষণের অসীম সম্ভাবনায়। এটি শিল্পীদের ছোটখাটো উপকরণ দিয়ে বাড়িতে বা স্টুডিওতে সহজেই সৃজনশীলতা প্রকাশ করার সুযোগ দেয়। আমরা অংশগ্রহণকারীদের হাতে-কলমে প্রতিটি ধাপ শিখিয়েছি, যাতে তারা নিজেরাই এই শিল্পের মাস্টার হয়ে উঠতে পারেন।”শিল্পাঙ্গনের অধ্যক্ষ সন্ধিপন দত্ত পুরকায়স্থ যোগ করেন, “আমাদের রজতজয়ন্তীতে এমন উদ্ভাবনী কর্মশালা চালু করে আমরা বরাক ভ্যালির শিল্পীদের আধুনিক ক্যানভাসে নিয়ে এসেছি। এটি শুধু দক্ষতা বাড়াবে না, বরং স্থানীয় হস্তশিল্পকে বাজারযোগ্য করে তুলবে।”

কর্মশালায় সহযোগিতা প্রদান করেন অভিজিৎ দে, চয়ন দে, সঞ্চয়িতা ভট্টাচার্য্য, পৌলমী শীল, প্রতিশী শীল, রাজ সরকার প্রমুখ। অংশগ্রহণকারী শিল্পীরা বলছেন, এই দুই দিনের অভিজ্ঞতা তাদের সৃজনশীলতাকে নতুন মাত্রা দিয়েছে। শিল্পাঙ্গন পরবর্তীকালে আরও এমন কর্মশালার পরিকল্পনা করছে, যাতে আরও বেশি শিল্পী যোগ দিতে পারেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *