১৫ ডিসেম্বর : গাজায় ইজরায়েলি হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সা’দ নিহত হয়েছেন, যা হামাস নিজেই নিশ্চিত করেছে। অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পর এটি হামাসের কোনও শীর্ষ নেতাকে হত্যার সবচেয়ে আলোচিত ঘটনা হিসেবে ধরা হচ্ছে।
ইজরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, শনিবার গাজা সিটির কাছে এক হামলায় তারা রায়েদ সা’দকে হত্যা করেছে। এই হামলায় অন্তত ২৫ জন আহত হয়েছেন। রবিবার এক ভিডিও বার্তায় সা’দের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে হামাসের গাজা প্রধান খলিল আল-হাইয়া বলেন, এই হামলার মাধ্যমে ইজরায়েল যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে।
তিনি আরও বলেন, “ইজরায়েলের ধারাবাহিক লঙ্ঘনের প্রেক্ষাপটে—যার মধ্যে গতকাল একজন হামাস কমান্ডারকে হত্যার ঘটনাও রয়েছে—আমরা মধ্যস্থতাকারীদের, বিশেষ করে চুক্তির প্রধান গ্যারান্টর হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসন ও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আহ্বান জানাই, যেন তারা দখলদার শক্তি ইজরায়েলকে যুদ্ধবিরতি চুক্তি মেনে চলতে এবং তা বাস্তবায়নে বাধ্য করে।”
গাজার কর্তৃপক্ষের তথ্যমতে, ১০ অক্টোবর যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পরও ইসরায়েল প্রায় প্রতিদিন গাজায় হামলা চালিয়ে গেছে। এ সময় প্রায় ৮০০টি হামলায় অন্তত ৩৮৬ জন নিহত হয়েছেন, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
এছাড়া যুদ্ধবিরতির শর্ত ভেঙে ইজরায়েল গাজায় মানবিক সহায়তার অবাধ প্রবাহে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। গত সপ্তাহে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল ভোটে একটি প্রস্তাব অনুমোদন করেছে, যাতে ইজরায়েলকে গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক সহায়তা প্রবেশের সুযোগ দিতে বলা হয়েছে।
প্রস্তাবে ইজরায়েলকে জাতিসংঘের স্থাপনায় হামলা বন্ধ করতে এবং দখলদার শক্তি হিসেবে আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে নিজের বাধ্যবাধকতা মানার আহ্বান জানানো হয়েছে।
খবর : দৈনিক ইনকিলাব পত্রিকা ডিজিটাল।


