বরাক তরঙ্গ, ১১ ডিসেম্বর : আগামী১৪ ডিসেম্বর থেকে শিলচরের তপোবননগর ন্যাশনাল হাইওয়ে সংলগ্ন এলাকায় কীর্তনের মাঠে শুরু হচ্ছে ২৪-প্রহর শ্রীশ্রী হরিনাম মহাযজ্ঞ। আশ্রম রোড, শিববাড়ি, রামগড়, গোবিন্দনগর, চান্দমারী, শিশুমন্দির রোড, পশ্চিম তপোবন নগর, বিশফুটি, দেবপাড়া ও কৃষ্ণনগরের সর্বজনীন হরিনাম মহাযজ্ঞ কমিটি এবারের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কীর্তন মাঠে অনুষ্ঠিত সাংবাদিক সম্মেলনে কমিটির পক্ষে দীলিপ কুমার দাস ও ধীরেন্দ্র চন্দ্র দাস জানিয়েছেন, ১৪ ডিসেম্বর রবিবার শুভ অধিবাসের মধ্য দিয়ে এই উৎসবের সূচনা হবে। ১৫ থেকে ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত নামসুধা বিতরণ চলবে; ১৭ ডিসেম্বর মহাপ্রসাদ বিতরণ এবং ১৮ ডিসেম্বর দধিভঞ্জন ও মোহন্ত বিদায় অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মহাযজ্ঞ সমাপ্ত হবে।
এইবারের অন্যতম আকর্ষণ হিসেবে ১৭ ডিসেম্বর নামসুধা বিতরণের সময় উপস্থিত থাকবেন কলকাতার বিশিষ্ট তত্ত্বসম্রাট প্রদীপ কুমার পাল — রাত ১০টা থেকে ২টা পর্যন্ত নামকীর্তনের মাধ্যমে সনাতন ধৰ্মের ব্যাখ্যা করবেন।
নীশিকান্ত দাস জানান, মূল উদ্বোধন হবে ১৪ নভেম্বর সন্ধ্যা ৬টায়। এই উদ্বোধন করবেন গোপাল বাবাজি, এবং অনুষ্ঠানটির শুভারম্ভে অংশ নেবেন ভারত সেবাশ্রম সংঘ, রামকৃষ্ণ মিশন, শ্রীশ্রী অনুকূল আশ্রমের প্রতিনিধিরা। পাশাপাশি বরাক উপত্যকার সাংসদ, মন্ত্রী ও বিধায়করাও আমন্ত্রণ করা হয়েছে।
কীর্তনে অংশগ্রহণ করছে ব্রজেশ্বরী সম্প্রদায় (কলকাতা), রাধারাণী সম্প্রদায় (নদীয়া ও পানীভরা), পতিত পাবন সম্প্রদায় (হোজাই), শিবানী সম্প্রদায় (কলকাতা), শ্রী রাধিকা সম্প্রদায় (নদীয়া) সহ একাধিক কীর্তন দল।
কমিটির তরফে জানানো হয়েছে, এবারের মহাযজ্ঞে দুই লক্ষাধিক ভক্ত ও শ্রোতার সমাগম আশা করা হচ্ছে। অধিবাসের রাত থেকেই অন্নপ্রসাদ বিতরণ শুরু হবে, আর ১৭ ডিসেম্বর সকাল ১১টা থেকে মহাপ্রসাদ পরিবেশন করা হবে। এছাড়া চা ও বিস্কুট বিতরণও থাকবে।
সাংবাদিক সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন সভাপতি গিরিদ্র দাস, সম্পাদক কমল দাস, কোষাধ্যক্ষ সুবোধ দাস, এবং কমিটির অন্যান্য সদস্য অঞ্জন চৌধুরী, নিশিকান্ত সরকার, শচীন্দ্র দাস, উপেন্দ্র দাস, গিরিদ্র দাস (পুনরায়), সন্তোষ দাস, রঞ্জন দাস, মিলন গোস্বামী, জ্যোতি লাল দাস, জয়কুমার দাস, সূর্য দাস, সুবীর দাস ও অনন্ত দাস। সকলেই মহাযজ্ঞের সুষ্ঠু ও সফল আয়োজনের জন্য সাধারণ জনসাধারণ এবং ভক্ত-শ্রোতাদের সহযোগিতা কামনা করেন।


