দিল্লির আশ্রয় আবাসস্থলে ২০ দিনে ১৩ শিশুর মৃত্যু
২ আগস্ট : ২০ দিনে মৃত্যু ১৩ শিশুর। একটি আশ্রয় আবাসস্থলে রহস্যজনকভাবে এতগুলি শিশু মৃত্যুর ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক চাপানউতোর শুরু হয়েছে। তবে মৃত্যু কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। দিল্লি আপ সরকার পরিচালিত রোহিণীতে আশা কিরণ আশ্রয় শেল্টার হোমটিতে বিশেষভাবে সক্ষম শিশুরা থাকে। এসডিএম-এর রিপোর্ট অনুযায়ী ওই শেল্টার হোমের পানীয় জলের মান নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। জানা গেছে, জানুয়ারি থেকে এখনও পর্যন্ত ২৭টি শিশু মারা গেছে, যার কারণ এখনও অজানা। এসডিএম জানিয়েছেন, মৃতের সংখ্যা গত বছরের তুলনায় অনেক বেশি৷
সরকার পরিচালিত এই শেল্টার হোমটিতে শিশু মৃত্যু নিয়ে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। দিল্লির আপ সরকারের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে বিজেপি। শেল্টার হোমটিতে শিশু মৃত্যুর কারণ অনুসন্ধানে একটি ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং দল গঠন করেছে জাতীয় মহিলা কমিশন (এনসিডাব্লু)। কমিশনের চেয়ারম্যান রেখা শর্মা বলেছেন, বছরের পর বছর ধরে দিল্লির সরকার পরিচালিত আশা আশ্রয় কেন্দ্রটি মানুষের সব আশা হারিয়ে ফেলেছে। দিল্লির আপ সরকারের কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে একটি দলকে হোমে পাঠানো হয়েছে। এনসিডাব্লু দিল্লি সরকার পরিচালিত নাইট হোমগুলির অডিট শুরু করেছে।
দিল্লির মন্ত্রী অতীশি অবশ্য আপ সরকারের বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে রাজস্ব বিভাগের অতিরিক্ত মুখ্য সচিবকে ম্যাজিস্ট্রিয়াল তদন্ত শুরু করার নির্দেশ সহ ৪৮ ঘন্টার মধ্যে একটি রিপোর্ট জমা দিতে বলেছেন। মন্ত্রী অতীশি অবহেলার কারণ খতিয়ে দেখে দোষীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন, সেইসঙ্গে ভবিষ্যতে যাতে এই ঘটনা আর হয় তার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে দিল্লি বিজেপির একটি দলও আশা কিরণ আশ্রয়কেন্দ্রে যায়।
বিজেপির মহিলা মোর্চার সহ সভাপতি রেখা গুপ্তা বলেন, তথ্য অনুযায়ী ওই আশ্রয় আবাস কেন্দ্রটিতে খুবই অপরিচ্ছন্ন। শিশুদের ঠিক মতো খেতে দেওয়া হত না, নোংরা পানীয়জল খেয়েই তাদের দিন কাটত। এমনকি অসুস্থ হলে ঠিকমতো চিকিৎসা পরিষেবাও তারা পেত না।
দিল্লির মন্ত্রী গোপাল রাই বলেন, ময়ূরবিহারে নিকাশি নালায় পড়ে মা-ছেলের মৃত্যুতে বিজেপি এখনও তাদের বাড়িতে যাওয়ার সময় পায়নি, তাদের মুখে এত কথা মানায় না। দিল্লির আপ সরকার সমস্ত পরিস্থিতির দিকে নজর রাখছে, দোষীরা শাস্তি পাবে। খবর : পুবের কলম