শিলচর মেডিক্যালে জুনিয়র ডাক্তারের হাতে গর্ভবতী মহিলা নির্যাতনের ঘটনায় উত্তেজনা
বরাক তরঙ্গ, ৩ নভেম্বর : শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে এক গর্ভবতী মহিলাকে জুনিয়র ডাক্তার মারধর করে হাসপাতাল থেকে তাড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় উত্তেজনা অব্যাহত রয়েছে। বুধবার মধ্যরাতে এ ঘটনা নিয়ে মেডিক্যাল উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। রাতে হাতে লাঠি নিয়ে একাংশ জুনিয়র ডাক্তার রোগীর আত্মীয়দের আক্রমন করেন। আত্মীদেয় ও ডাক্তারের মধ্যে দীর্ঘক্ষণ মারপিট হয়। খবর পেয়ে স্থানীয় ঘুংঘুর পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। গর্ভবতী মহিলাকে মারধরের অভিযোগে চিকিৎসক তমাল বিশ্বাসকে পুলিশ তার হেফাজতে নিয়ে যায়। স্বজনদের অভিযোগ, গর্ভবতী মহিলাকে মারধর করেছে ওই চিকিৎসক। বৃহস্পতিবার ছেড়ে দেওয়া হয়েছে জুনিয়র চিকিৎসককে।
এদিকে প্রসব বেদনায় ছটফট থাকা অবস্থায় রাতে মেডিক্যাল থেকে গর্ভবতী মহিলাকে বের করে শিলচরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন আত্মীয়রা। উল্লেখ্য, ‘ধর’ উপাধির গর্ভবতী ওই মহিলাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় গত রাতে ভর্তি করা হয়েছিল। পরিবারের লোকেরা জানান, সঙ্কটজনক অবস্থায় নারী শিক্ষা হাসপাতাল থেকে রাতে মেডিক্যালে স্থানান্তর করা হয়। তবে মেডিক্যলে ভর্তির পর প্রসূতি ওয়ার্ডে পর্যাপ্ত বিছানা না থাকায় গর্ভবতী মহিলাকে প্রসূতি ওয়ার্ডের বারান্দায় শুইয়ে রাখা হয়। প্রসব বেদনার আর্তনাদ শুনে কর্তব্যরত চিকিৎসক তমাল বিশ্বাস ছুটে এসে মহিলার উপর শারীরিক নির্যাতন করেন। এরপর পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়।