বাবার ঔরসে মেয়ের পেটে সন্তান! গ্রেফতার

বরাক তরঙ্গ, ১১ নভেম্বর : নিজের সতেরো বছরের মেয়ের সঙ্গে শারিরীক সম্পর্ক গড়ে তোলার অভিযোগে এগারো মাস পর কুলাঙ্গার বাবাকে আটক করল উধারবন্দ পুলিশ। ধৃত ব্যক্তি উধারবন্দ অঞ্চলের বাসিন্দা। মেয়ের মামলার পরিপ্রেক্ষিতে গোপন সূত্রের খবরের ভিত্তিতে সোমবার রাতে দয়াপুর ব্রিজ রোড থেকে তাকে আটক করেন উধারবন্দ থানার এসআই পাপলি দুয়ার। মঙ্গলবার তাকে শিলচর আদালতে তোলা হয়। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, চলতি বছরের ১৮ জানুয়ারি নিজের জন্মদাতা বাবার বিরুদ্ধে এক গুরুতর অভিযোগ এনে শিলচর সদর থানার অধীনে রাঙ্গিরখাড়ি পুলিশ ফাঁড়িতে মামলা দায়ের করে কিশোরী। শিলচর সদর থানা থেকে এই মামলাটি উধারবন্দ থানায় পাঠানো হয়। পরে উধারবন্দ থানার এসআই পাপলি দুয়ার তদন্তে নামেন। এই মামলাতে মেয়েটি উল্লেখ করে, ২০২২ সালে যখন সে তার বাবার সঙ্গে উধারবন্দের বাড়িতে থাকত। সেসময় বাবা জোর করে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। এতে বাধা দিলে  তাকে নানাভাবে হুমকি দেয়। বিষয়টি নিয়ে মুখ খুললে তার ভাইকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। পরে নাবালিকা মেয়েকে বাড়িতে রেখে বহিঃরাজ্যে পালিয়ে যায়। মেয়েটি যখন সাত মাসের গর্ভবতী তখন সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপর বিষয়টি তার পিসিকে জানায়। তখন তার পিসি মোবাইল ফোনে কুলাঙ্গার ব্য়ক্তির সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করলে মেয়েটিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বলে। এরপর তার কথা মত মেয়েটিকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। পরবর্তীতে মেয়েটিকে শিলচর কলেজ রোডের দিদির বাড়িতে রাখা হয়। পরে একটি কন্যাসন্তান দিদিকে দিয়ে সেখান থেকে চলে আসে সে। পরে পিসি তাকে কাজে ঢুকিয়ে দেয়।

পরবর্তীতে সে মোবাইল ফোনে বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করে এবং জানায় বর্তমানে তার থাকার কোন জায়গা নেই। তখন তাকে এক কাকার কাছে সমঝে দেয়। সেখানে মেয়েটি জানতে পারে, তার বাবা আরেকটি বিয়ে করেছেন। তখন মেয়েটি চলে যায় সৎমার কাছে। সেখানেও তার ঠাঁই হয়নি। সৎমাও এসময় ছিলেন গর্ভবতী। বিষয়টি জানার পর নাবালিকা মেয়েটি সেখান থেকে পালিয়ে গেলে পুলিশ তাকে ট্রেন থেকে আটক করে এবং জালুকবাড়ি স্টেট হোমে পাঠিয়ে দেয়। পরে সেখান থেকে তাকে শিলচরের নিবেদিতা হোমে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *