নবমী পূজার মাধ্যমে মানবকুলে সম্পদ লাভ হয় : স্বামী গণধীশানন্দজি
বরাক তরঙ্গ, ৪ অক্টোবর : চারদিনের দুর্গাপুজোর শেষ দুই দিন অর্থাৎ নবমী ও দশমীর দুই তিথি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সন্ধিপুজোর মধ্যে দিয়ে অষ্টমী তিথির অবসান হয়ে শুরু হয় নবমী। অষ্টমী ও নবমী তিথির সন্ধিক্ষণে হয় বলে দুর্গাপুজোর এই বিশেষ প্রথার নাম সন্ধিপুজো। আধ্যাত্মিক ক্ষেত্রে ‘সন্ধি’ কথাটির বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। ‘সন্ধি’ কথার অর্থ হল “মিলন”। উপাসনার মধ্যে দিয়ে কী ভাবে সন্ধি বা মিলন সম্পাদিত হয়, তারই একটা সুন্দর চিত্র পাওয়া যায় শিলচর রামকৃষ্ণ মিশনের দুর্গাপুজোর বিশেষ আনুষ্ঠানিক অঙ্গ সন্ধি পুজোর মধ্যে।
শিলচর রামকৃষ্ণ মিশনের মহারাজ গণধীশানন্দজি বলেন, শাস্ত্রমতে নবমী পূজার মাধ্যমে মানবকুলে সম্পদ লাভ হয়। শাপলা-শালুক ও বলিদান সঙ্গে নানা আনুষ্ঠানিকতার মধ্যে নবমী পূজা হয়। নবমীতেই দেবী বন্দনার সমাপ্তি। তাই ভক্তরা প্রার্থনা করতে থাকেন দেবীর উদ্দেশ্যে। যজ্ঞের মাধ্যমে দেবী দুর্গার কাছে আহুতি দেওয়া হয়। ১০৮টি বেল পাতা, আম কাঠ, ঘি দিয়ে এই যজ্ঞ করা হয়। ধর্মের গ্লানি আর অধর্ম রোধ, সাধুদের সেবা, অসুরের বধ আর ধর্ম প্রতিষ্ঠার জন্য প্রতি বছর দুগর্তিনাশিনী দেবী দুর্গা ভক্তদের মাঝে আবির্ভূত হন। নবমীর উচ্ছ্বাস-আনন্দের পরই বিদায়ের সুর নিয়ে আসে বিজয়া দশমী।
প্রতিবেদক : দীপ দেব, শিলচর।