শিলচর শঙ্কর মঠ ও মিশনের শ্রীরামচন্দ্রের পূজার্চনা

বরাক তরঙ্গ, ২৩ জানুয়ারি : সারা ভারতের সনাতন ধর্মীয় মন্দির ও মঠ গুলো মেতে উঠেছে শ্রীরামচন্দ্রের আরতি-বন্দনা, রাম স্ত্রোত্রপাঠ, হনুমান চালিশা পাঠ, জায়গায় -জায়গায় শ্রীরামচন্দ্রের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করছেন সাধু সন্ন্যাসীরা সহ রামভক্ত সনাতনী মানুষেরা। প্রত্যেকটি ছোট ও বড় মন্দিরে গেরুয়া রঙের পতাকায় সেজে উঠেছে, সব মিলিয়ে সমগ্ৰ ভারতবর্ষের মানুষের জয় শ্রী রাম ধ্বনিতে মেতে উঠেছে আকাশ ও বাতাস। সমগ্ৰ পৃথিবীর রামভক্তদের সঙ্গে- সঙ্গতি রেখে শিলচর শঙ্করমঠ ও মিশনে শ্রীরামচন্দ্রের প্রতিকৃতিতে বাংলাদেশ সীতাকুণ্ড থেকে আগত তথা আন্তর্জাতিক গীতা প্রচার সংস্থার প্রধান অধ্যক্ষ শ্রীমৎ স্বামী তপনানন্দ গিরি মহারাজ মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রী রামচন্দ্রের প্রতিকৃতিতে পূজার্চনা সহ মাল্যদান ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন।

শিলচর শঙ্কর মঠ ও মিশনের শ্রীরামচন্দ্রের পূজার্চনা

তিনি বলেন, ভগবান শ্রীরামচন্দ্র ছিলেন বিষ্ণুর সপ্তম অবতার। মর্যাদা পুরুষোত্তম শ্রীরাম তাঁর গোটা জীবন ব্যয় করেছিলেন ন্যায়, ধর্ম, ক্ষমা ও সত্যের সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠা করার জন্য। একজন রাজা হিসেবে নিজের সমস্ত দায়িত্ব পালন করেছিলেন তিনি। শ্রীরামের চরিত্র ও জীবন দর্শন আমাদের এমন কিছু শিক্ষা দেয়, যা এত হাজার বছর পরেও আমাদের জীবনের পাথেয় হতে পারে। তাঁর চরিত্রের ঔজ্জ্বল্য রামকে আমাদের কাছে আদর্শ করে তুলেছে। নিজের ব্যবহার ও কর্ম দিয়ে নিজেকে সবার কাছে উদাহরণ হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন তিনি।শ্রীরামচন্দ্র ছিলেন প্রাচীন ভারতের এক মহান রাজা। তিনি সত্য, ক্ষমা, দয়া, ধর্ম ও সম্মানের রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। আজকের দিনে ভারতের অযোধ্যার রামমন্দিরের উদ্বোধনী পৃথিবীর ধার্মিক ইতিহাসে আজকের এই ২২ শে জানুয়ারি স্বর্ণাক্ষরে লেখা হয়েছে।শ্রীরাম চন্দ্রের আদর্শ ও নীতিকে সবাই নিজ-নিজ জীবনে মেনে চলার পরামর্শ দেন।

শিলচর শঙ্কর মঠ ও মিশনের শ্রীরামচন্দ্রের পূজার্চনা

বেনারস ভোলাগিরি আশ্রমের আচার্য্য স্বামী মাধবানন্দ গিরি মহারাজ বলেন, শ্রীরামচন্দ্রের আশীর্বাদে পৃথিবীর, সকল বাড়িতে বজায় থাক সুস্বাস্থ্য, অসুখ সেরে যাক।রাম আমার, রাম তোমার, রাম আমাদের সকলের, শুধু আবেগেই রামের বাস নয়, বরং প্রতিটি মানুষের মধ্যেই রাম বাস করেন।ভগবান শ্রীরামচন্দ্রকে জানা এবং স্মরণ করা প্রত্যেকজন প্রকৃত রাম ভক্তেদের প্রধান কর্তব্য। শিলচর ভোলাগিরি আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী ভুবনেশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ বলেন,ভারতবর্ষের মানুষের কাছে  শ্রীরাম ‘মর্যাদাপুরুষোত্তম’। মানুষের মধ্যে উত্তম অর্থাৎ মানব জীবনের মহান আদর্শ। তার জীবনের অনেক বেদনাদায়ক ও জটিল পরিস্থিতির মধ্যেও মর্যাদার লক্ষ্মণরেখা কোনওদিন অতিক্রম করেননি। যার মর্যাদা প্রাপ্যতাকে তা দান করেছেন। আদর্শ পুত্র, আদর্শ ভ্রাতা, আদর্শ স্বামী, আদর্শ প্রজানুরঞ্জক রাজা, এমনকী শত্রু হিসেবেও নিজের আচরণ সম্বন্ধে সাবধান থাকতেন, যথাযথ মর্যাদাপূর্ণ আচরণ করতেন। শ্রীরাম ভারতীয় রাষ্ট্রজীবনের আদি ও আদর্শ রাষ্ট্রপুরুষ। শ্রীরামচন্দ্রের জীবনাদর্শ সকল ভারতীয়রই অনুকরণযোগ্য। এদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন শংকর মঠ মিশনের কর্মাধ্যক্ষ স্বামী বিজ্ঞানানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজ সহ পরিচালনা কমিটির সভাপতি রঞ্জিত মিত্র, সহ-সভাপতি রামপ্রসাদ দেবনাথ, সম্পাদক বিপ্লবকুমার দে, কার্যকারী সদস্য রূপন মিত্র, সুমন মিত্র, নিখিল মিত্র, সুজিত মিত্র,অমল বণিক, শিপ্রা দে সহ অন্যান্যরা।
প্রতিবেদক : দীপ দেব, শিলচর।

Author

Spread the News