ক্রীড়ামহলের সম্ভাবনা প্রতিফলিত, ডিএসএ-র নির্বাচনে না বিজেন্দ্রর

বরাক তরঙ্গ, ৭ জুলাই : শিলচর ডিএসএ-র বর্তমান সচিব বিজেন্দ্র প্রসাদ সিং আগামী ১৬ জুলাইয়ের দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভায় প্রার্থী হচ্ছেন না। শুধু সচিব নন, কোনও পদেই থাকবেন না তিনি। জানা গেছে, বৃহস্পতিবার নিজের পছন্দসই একাংশ সংবাদ কর্মীকে ডেকে নিয়ে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান। অবশ্য এ ধরনের সম্ভাবনা অনেক আগে থেকেই ছিল।

এও জানা গেছে, বিজেন্দ্র এদিন নিজের সাড়ে তিন বছরের কার্যকালের দিকগুলি তুলে ধরেন। গত সাড়ে তিন বছরের কার্যকালে অনেক বাধা বিপত্তির মোকাবেলা করতে হয়েছে তাকে। অতিমারি কোভিড, বন্যা ছাড়াও আসাম অলিম্পিক সংস্থার সঙ্গে সংঘাতের কথা উল্লেখ করেন। ইতিবাচক দিক হিসেবে স্টেডিয়াম চত্বরে সিসি ক্যামেরা স্থাপন, ডিএসএ-র প্রবেশ পথের সংস্কার এবং সৌন্দর্যায়ন, প্রশাসনিক ভবন, শাখা সচিবদের কক্ষ, প্লেয়ার্স হোস্টেল, জিমনাসিয়াম হল, প্লেয়ার্স ওয়েলফেয়ার ফান্ড ইত্যাদি। ব্যর্থতার মধ্যে ফ্লাড লাইটের মেরামত, বসাতে পারেননি হকির জন্য এস্ট্রো টার্ফ এবং করাতে পারেননি ডিএসএ-র ইন্ডোরের সংস্কারও। টেবিল টেনিস ও ক্রিকেটে সাফল্য পেয়েছেন। তবে জেলায় ফুটবলার তৈরিতে পরিপূর্ণতা আনতে পারেননি। হয়নি বড় মাপের ফুটবল টুর্নামেন্ট যেমন ক্যাপ্টেন নলিনী মোহন গুপ্ত ট্রফি।

এদিকে, বিভিন্ন মাধ্যমে জানা গেছে যে, নিজেকে সচিব পদের লড়াই থেকে দূরে সরিয়ে নেয়ার কারণ হিসেবে নিজের পারিবারিক সমস্যার কথা উল্লেখ করেছেন। এরজন্য অদৃশ্য কোন কারনের কথা খোলসা করেননি। কেবল আগামী দু বছর ডিএসএ থেকে কুলিং পজিশনে থাকবেন এমন উল্লেখ করেন। অবশ্য দীর্ঘদিন থেকে ডিএসএ-র নির্বাচন বিষয়ে কিছুটা দূরেই ছিলেন তিনি। আবারো সচিব হয়তো হচ্ছেন না, আগে থেকেই এমন একটা ধারণার সৃষ্টি  হয়েছিল ক্রীড়ামহলে। সে স্থলে বাবুল হোড় শুরু থেকেই খোলামেলা মাঠে নামেন। এই অবস্থায় এদিন সচিব বিজেন্দ্র যে মহলে এর জানান দেন, সেখানে তার সিদ্ধান্ত নয় বলে  স্পষ্ট করে উল্লেখ করেন। তবে মুখে না বললেও আসল রহস্য হয়তো একমাত্র সময়েই বলে দিতে পারে, সে অপেক্ষায় জেলার ক্রীড়ামোদী জনগণ।

বিশ্বস্থ সূত্রে জানা গেছে, গত মঙ্গলবার অনুষ্ঠিত জিবি মিটিংয়ের পর আসন্ন বিজিএমের প্রার্থী বাছাই নিয়ে এক গোপন বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে আসার পর মনেমনে পাকা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেন বিজেন্দ্র। এবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করলেন। ফলে ক্রীড়ামহল এতে মোটেও অবাক হয়নি।
প্রতিবেদক : ইকবাল লস্কর, শিলচর।

Author

Spread the News