রাঙ্গিরখাড়ি তারকনাথ শিবমন্দিরে দুর্গাপূজার উদ্বোধন বিজ্ঞানানন্দ ব্রহ্মচারী মহারাজের

দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৯ অক্টোবর : শিলচরের আকাশে ও বাতাসে দুর্গাপূজার বাতাবরণ সৃষ্টি হয়েছে, সব বয়সের মানুষদের মধ্যে আনন্দ উল্লাসের লক্ষ করা যায়। মহাষষ্ঠী উপলক্ষে রাঙ্গিরখাড়িস্থিত তারকনাথ শিবমন্দিরের দুর্গাপূজাটির মাঙ্গলিক পঞ্চপ্রদীপ প্রজ্জ্বলনের মাধ্যমে উদ্বোধন করেন শিলচর শঙ্করমঠ ও মিশনের কর্মাধ্যক্ষ বিজ্ঞানানন্দ ব্রহ্মচারী। বক্তব্যে তিনি বলেন, শক্তির আরাধনাই হচ্ছে দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজা হচ্ছে মূলত শক্তির পূজা, এই জগত সংসার শক্তির উপর নির্ভরশীল শক্তি বিনা ভক্তি মুক্তি কিছু হয়না। তাই শক্তির দেবতা হচ্ছে জগত জননী মহামায়া দুর্গা অশুভ শক্তি বিনাশের জন্য মায়ের আবির্ভাব ঘটে। সঙ্গে আছেন লক্ষ্মী সরস্বতী, কার্তিক, গণেশ, একটা রাষ্ট্র পরিচালনা করতে গেলে সেই রাষ্ট্রের বিদ্যাবুদ্ধি ধন সম্পদ সবকিছুর প্রয়োজন তখন সে রাষ্ট্র স্বয়ং সম্পন্ন হয়। তাই আমরা দুর্গাপূজায় দেখতে পাই মায়ের সঙ্গে সমস্ত শক্তি নিয়ে এসেছে।
মা লক্ষ্মী সম্পদের দেবী, সরস্বতী বিদ্যার দেবী, কাত্তিক সেনাপতি, গণেশ সিদ্ধি বুদ্ধির অধিষ্ঠা। প্রতিবছর আশ্বিন মাসে দুর্গাপূজা হয়। বর্তমান সময়ে সমগ্র দেশ-বিদেশ মায়ের পূজা হচ্ছে। ত্রেতা যুগে ভগবান রামচন্দ্র সীতাকে উদ্ধারের জন্য যখন লঙ্কা যাচ্ছিলেন তখন সমুদ্রে সেতুবন্ধনের নির্মিত্বে মায়ের পূজা করে মায়ের আশীর্বাদ কামনা করলেন। ওই রামচন্দ্রের পূজাই বর্তমান সময়ে শারদীয় দুর্গোৎসব। দুর্গার এক নাম মহামায়া সমস্ত জগত সংসার তার অধীনে চলে। তার মায়া দ্বারা তিনি সকল জীবকে বেধে রেখেছেন তার মায়া শক্তির বশীভূত হয়ে সকলে মায়ার জালে আবদ্ধ হয়েছে। তাই মায়া অতিক্রম করা খুব কঠিন। যারা যোগী তারাই মায়াকে অতিক্রম করতে পারে। তাই যোগী গনের জন্য তিনি যোগমায়া। এদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত বিশ্ব হিন্দু পরিষদের দক্ষিণ-পূর্ব প্রান্তের সভাপতি তথা আইনজীবী শান্তনু নায়েক ও সংগঠন মন্ত্রী পূর্ণচন্দ্র মণ্ডল প্রমুখ।

