শিলচর ভোলাগিরি আশ্রমের দু’টি ফলক উন্মোচন দীপায়নের
দীপ দেব, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ৫ অক্টোবর : শিলচর রাঙ্গিরখাড়িস্থিত শ্রীশ্রী ভোলাগিরি আশ্রমের আসাম দর্শন স্কিমের তিন লক্ষ টাকার ও বিধায়কের উন্নয়ন তহবিলের তিন লক্ষ টাকার দুইটি ফলক একসাথে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মোচন করলেন বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী ও সঙ্গে ছিলেন শিলচর পৌরসভার বাস্তুকার মৃণাল কান্তি দে মহাশয়েরা এবং দুইটি পৃথক -পৃথক প্রকল্পের অর্ধেকাংশ নগদ অর্থ তুলে দেন উক্ত আশ্রমের অধ্যক্ষ স্বামী ভুবনেশ্বরানন্দ গিরি মহারাজের হাতে।
এদিন প্রথমে উপস্থিত বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী ও শিলচর পৌরসভার বাস্তুকার মৃণাল কান্তি দে মহাশয়দেরকে গলায় উত্তরীয় পরিয়ে সম্মান জানান স্বামী ভুবনেশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ, পুরহিত হীরক ভট্টাচার্য, সম্পাদক ভোলানাথ চৌধুরী প্রমূখেরা। বিধায়ক দীপায়ন চক্রবর্তী বক্তব্যে বললেন, নিজ ধর্মকে ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানকে সাহায্য ও সম্মান জানানো সবাইর প্রধান কর্তব্য।আজ যেভাবে সমাজে বিশৃংখলা ক্রমশ বেড়ে চলছে,সেটাকে বন্ধ করতে মানুষকে ধর্মকেন্দ্রিক হওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। তিনি আরও বলেন, শিলচর ভোলাগিরি আশ্রম ভারত বর্ষের এক প্রাচীনতম হিন্দু ধর্মীয় মন্দির প্রতিষ্ঠান, আমাদের সৌভাগ্য যে ভারতের এই ধর্মীয় প্রাচীনতম প্রতিষ্ঠানের অঙ্গ হিসেবে শিলচর রাঙ্গিরখাড়ী স্থিত শ্রীশ্রী ভোলাগিরি আশ্রম অবস্থিত, আশ্রমের উন্নয়নের তিনি আগামী দিনেও এইভাবে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিবেন বলে আশ্বাস দেন।
স্বামী ভুবনেশ্বরানন্দ গিরি মহারাজ বলেন, সনাতন ধর্ম রক্ষার জন্য সাধু-সন্তরা সর্বদা রয়েছেন আর মঠ-মন্দির -আশ্রম রক্ষার ভক্তরা রয়েছেন, এইভাবেই একটি আশ্রমের উন্নতি ঘটবে। দেশের উন্নতির জন্য যেভাবে জনপ্রতিনিধিদের ভূমিকা রয়েছে,ঠিক একই ভাবে ধর্মের উন্নতির জন্য সাধু-সন্ন্যাসীদের ত্যাগ রয়েছে। এই ভারত দেশ বীর সাধু-সন্ন্যাসীদের দেশ বলে আজও পৃথিবীতে পরিচিত, ভারতের প্রত্যেকটি সন্তান হলো অমৃতের সন্তান। এদিন অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সৌমিত্র দত্ত রায়(বাপ্পী), সৌমেন দত্ত চৌধুরী সহ আরো অন্যান্যরা।