সমর্থন নিয়ে চব্বিশ ঘণ্টার মধ্যেই ইউডিএফ-তৃণমূল সভা
আশু চৌধুরী, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ১২ এপ্রিল : সোনাইয়ে রাজনীতির মোড় পাল্টাতে চলেছে! তৃণমূল নেতৃবৃন্দ এআইইউডিএফের কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা করলেন। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যারাতে দক্ষিণ কৃষ্ণপুরে এক বিবাহ ভবনে ইউডিএফের মত বিনিময় সভায় শিলচর লোকসভা কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থীকে সমর্থন করার প্রস্তাব উঠে আসে। কর্মীদের প্রস্তাব আসার চব্বিশ ঘণ্টার হতে না হতেই তৃণমূল নেত্রী তথা সাংসদ সুস্মিতা দেব প্রার্থী রাধেশ্যাম বিশ্বাসকে নিয়ে একই স্থানে সভায় মিলিত হলেন। সভায় এআইইউডিএফের তিন পুর কমিশনার সহ সোনাইয়ের প্রথম সারির নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। শুক্রবার সোনাইর রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব জুনুবাবু লস্করের পৌরোহিত্যে সভায় সুস্মিতা দেব বলেন, “আপনারা সঙ্গে থাকুন দেখবেন কাছাড়ে নয়া রাজনীতি শুরু হবে এবং ২৪ এর পর রাজ্যে তৃনমূলের উত্থান ঘটবে। তিনি বলেন, সোনাইবাসীকে ইউডিএফে ভোট দিতে কংগ্রেসই বাধ্য করেছে। আরও বলেন, ভোট চাওয়ার প্রত্যেকের অধিকার রয়েছে। সেই অধিকার মতে তিনি ইউডিএফের কাছে ভোট চাইছেন। প্রয়োজনে তিনি কংগ্রেস-বিজেপির কাছেও ভোট চাইবেন।
সুস্মিতা বলেন, আজ যাঁরা প্রার্থী রয়েছেন তাঁদের চেয়ে অনেক ভাল প্রার্থী রাধেশ্যাম বিশ্বাস। এও বলেন, এমনকি রাজদীপ রায় ও তাঁর চেয়েও ভাল। যিনি সংসদে ৮৯ শতাংশ উপস্থিত ছিলেন। বরাকের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে ২৬০ টা প্রশ্ন তুলেছেন সংসদে। ৬৮ টা ডিবেট করেছেন তিনি। যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা নিরিখে প্রার্থী হলেন বিশ্বাস এমনটাই বলে ইউডিএফের কাছে ভোট চাইলেন।
এ ছাড়া তিনি তাঁর পুরানো দল কংগ্রেসেরও তীব্র সমালোচনা করেন। বলেন, রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা নেই, তাই আবোলতাবোল বলছেন জেলা কংগ্রেসের নেতারা। অসমে কংগ্রেস নড়বড়ে বলে দাবি করে বলেন, রাজ্যে বিজেপির বিরুদ্ধে মোকাবিলা করবে টিএমসি। বিজেপিকে উচিত জবাব দিতে শিলচরে তৃণমূল কংগ্রেস যোগ্য প্রার্থী দিয়েছে। তিনি বলেন, পরিমল কে ধলাইয়ের মন্ত্রী হিসাবে কটাক্ষ করে বলেন, ঐতিহবাহী শিলচর আসনে এমন প্রার্থী দিয়ে বরাকবাসীকে অস্বস্তিতে ফেলেছে বিজেপি দল। বলেন, মন্ত্রিসভায় থাকা সত্তেও বরাকের কোন সমস্যা নিয়ে মুখ খুলেননি। বরাকে অস্তিত্ব লড়াই শক্তিশালী করতে রাধেশ্যামকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান সাংসদ সুস্মিতা দেব। এছাড়া বক্তব্য রাখেন প্রার্থী রাধেশ্যাম বিশ্বাস। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন দুই পুরসদস্য নুর আহমদ বড়ভূইয়া, এসএম দিলোয়ার জাহান লস্কর, এমইউ মিজানুর রহমান লস্কর, জহিরুল ইসলাম প্রমুখ। তবে সভায় সোনাই ইউডিএফের সভাপতি বা সম্পাদক কেউ উপস্থিত ছিলেন না।