বিকল দু’টি স্লুইচ গেট, পাথারকান্দির জনবহুল প্লাবিত
মোহাম্মদ জনি, করিমগঞ্জ।
বরাক তরঙ্গ, ২১ জুন : বিকল দু’টি স্লুইচ গেট দিয়ে লঙ্গাই নদীর জলপ্রবেশ করে পাথারকান্দির জনবহুল ডাকবাংলো ও কালীবাড়ি রোডের বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবনের ফলে দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন স্থানীয় বসবাসকারী জনগণ। ফলে অবেশেষে বাধ্য হয়ে এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জোরালো দাবি জানিয়ে শুক্রবার স্থানীয় ভুক্তভোগীদের পক্ষ থেকে প্রায় বেশকিছু পুরুষ ও মহিলাদের এক প্রতিনিধি দল পাথারকান্দি সার্কল অফিসারের কাছে এক স্মারকপত্র প্রেরণ করেন। স্মারকপত্রে তাঁরা উল্লেখ করেন, খুব একটা বেশি দিন হয়নি পাথারকান্দি থানা সংলগ্ন এলাকার লঙ্গাই বাঁধের পাশে একটি স্লুইচ গেট সংস্কারের। কিন্তু সংস্কারের পরও জলসম্পদ বিভাগের বেহাল এই স্লুইচ গেট জনগণের সুরক্ষার কোন কাজে আসছে না। উল্টো নদীর জল বৃদ্ধি পেলেই অবাদে সেই জল প্রবেশ করে বিস্তৃর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে জনদুর্ভোগ চরম আকারে পৌঁছে। এমনকি অভিযোগ মতে, বিকল এই স্লুইস গেটের জলের তোড়ে রাধারমণ আশ্রমের রাস্তা ধুয়ে সাফ হয়ে গেছে। দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে আশ্রমে বসবাস রত সেবাইত। একইভাবে শহরের থানার পেছনে থাকা পৃথক আরেকটি স্লুইচ গেটের একই হাল। নদীর জল বৃদ্ধি পেলেই সেই জল শহরের জনবহুল থানা, ডাকবাংলো, সার্কল অফিসারের কার্যালয়ের সম্মুখের প্রবেশ পথে জল নগরীতে পরিণত হয়। জলের মধ্যে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করতে হচ্ছে প্রয়োজনীয় কাজে। অভিযোগ মতে এই মরসুমে এলাকায় বড় ধরনের তেমন বন্যা হয়নি। অথচ পক্ষকালের মধ্যে পর পর দুবার এহন দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছিল স্থানীয়দের। এই জলন্ত সমস্যার স্থায়ী সমাধানের জোরালো দাবি জানান তারা।
এমর্মে আগামী দুই-একদিনের মধ্যে জল সম্পদ বিভাগকে নিয়ে বিষয়টি সঠিক তদন্তের আশ্বাস দেন সার্কেল অফিসার বলীন বাবা বালারী। এতে দুর্দশাগ্রস্থ জনগণের পক্ষ থেকে স্মারকপত্রে স্বাক্ষর করেন সৃজন পাল, রাজেশ দে, পুলক সোম, সব্যসাচী নাথ, তপন কুমার রায়, পূর্ণিমা দেব, পিঙ্কি সোম, অরিজিৎ সেন, পাপলু দে, প্রিয়াঙ্কা পাল, ববিতা সিংহ, নিতাই চন্দ প্রমুখ। স্মারকপত্রের প্রতিলিপি স্থানীয় বিধায়ককে দেওয়া হয়েছে।