বরাক তরঙ্গ, ২৬ ডিসেম্বর : সারা দেশের সাথে সঙ্গতি রেখে হাইলাকান্দিতেও সম্পন্ন হলো তুলসী পূজা, গীতা যজ্ঞ, ভজন, কীর্তনের অনুষ্ঠান। হাইলাকান্দি পুরোহিত মণ্ডলী দ্বারা আয়োজিত এই অনুষ্ঠান বৃহস্পতিবার স্থানীয় আদি কালীবাড়িতে অনুষ্ঠিত হয়। সনাতন সংস্কৃতিকে নবপ্রজন্মের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিতে এবং পাশ্চাত্য সংস্কৃতি থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে তুলসী দেবী ও তুলসীগাছের মাহাত্ম্য তুলে ধরতে এদিন অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ হয় ধ্বজারোহনের মাধ্যমে। সকাল দশটায় বৈদিক মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে ধ্বজ উত্তোলন করেন সংস্কৃত ভারতী হাইলাকান্দি জেলা সভাপতি তথা বিশিষ্ট সমাজকর্মী সুশান্ত মোহন চট্টোপাধ্যায়। এরপর প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন সুশান্ত মোহন চট্টোপাধ্যায় ও বিশিষ্ট পুরোহিত শুভময় ভট্টাচার্য। একই সাথে সমবেত ও একক ভাবে তুলসী বন্দনা পরিবেশিত হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর শুরু হয় বাসুদেব পূজা, তুলসী পূজা এবং গীতা যজ্ঞ। তুলসী পূজানুষ্ঠান পরিচালনা করেন প্রকৃতিরঞ্জন ভট্টাচার্য। তাকে সহযোগিতা করেন রত্নেন্দু ভট্টাচার্য্য। গীতা যজ্ঞ পরিচালনা করেন শুভময় ভট্টাচার্য্য। তাকে সহযোগিতা করেন অমিত গোস্বামী, বিপ্রজিৎ ভট্টাচার্য, রাজু চক্রবর্তী, ধনঞ্জয় শর্মা এবং রাজ চক্রবর্তী। পূজা ও যজ্ঞানুষ্ঠানের সামগ্রিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন রঞ্জনকুমার ভট্টাচার্য এবং পিনাক চক্রবর্তী সহ সত্তম শর্মা, অজয় চক্রবর্তী, রাজীব পুরকায়স্থ, শঙ্কু চক্রবর্তী প্রমুখ পুরোহিত মণ্ডলীর সদস্যগণ। যজ্ঞ শেষে তুলসী আরতি করে ধনঞ্জয় শর্মা। এরপর তুলসী বন্দনার সাথে যোগ প্রদর্শন করে দুই শিশুশিল্পী অভনী সিং এবং ঋদ্ধি দেবনাথ। যোগের পর বেবী ডেকার পরিচালনায় শ্রীগুরু গীতা সংস্থার শিক্ষার্থী সপ্তদীপ দেব, শ্রেয়াংশ দাসগুপ্ত, ভার্গব নন্দী শ্রেয়াংশ আচার্য, জিৎ ডেকা, রত্নদীপ পাল, কৃতিসুন্দর দেব, ঋদ্ধিমান দে, প্রসেঞ্জিৎ দেব, সৌরজিতা নাথ, আরুশী ভট্টাচার্য এবং অন্বেষা রায় সমবেত ভাবে শ্রীমদ্ভগবদগীতার পঞ্চদশ অধ্যায় “পুরুষোত্তমযোগঃ” আবৃত্তি করে।

বেলা ১-৩০টা থেকে আরম্ভ হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও উপস্থিত ভক্তদের মধ্যে মহাপ্রসাদ বিতরণ। এতে ভক্তিগীতি পরিবেশন করে পিয়ালী ভট্টাচার্য, তানিয়া দাস, বিদূষী নাথ মজুমদার, অর্ণব চক্রবর্তী এবং সিদ্ধার্থ দাস। শিল্পীদের তলায় সহযোগিতা করে প্রাঞ্জল ভট্টাচার্য এবং স্বস্তিক সিনহা চৌধুরী। সন্ধ্যায় পণ্ডিত মনোজ দুবের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয় ভাগবত পাঠ ও ভজন কীর্তন। সঙ্গে ছিলেন কন্ঠে সোমনাথ দুবে, ঢোলকে অজিত রবিদাস এবং বিষ্ণু রবিদাস, কেসিওতে মনীষ তিওয়ারী ও হারমোনিয়ামে লক্ষী তন্তুবায়। রাত দশটায় অনুষ্ঠান সমাপ্তি হয়। সামগ্রিক অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন সুশান্ত মোহন চট্টোপাধ্যায়, শুভময় ভট্টাচার্য এবং ধনঞ্জয় শর্মা।বিশিষ্ট ব্যাক্তিবর্গ সহ প্রচুর ভক্ত সমাগমে এই অনুষ্ঠান সুন্দর ও সাফল্যমণ্ডিত হয়।


