তৃণমূল কংগ্রেস ‘ছিন্নমূল’ কটাক্ষ দিলীপের
বরাক তরঙ্গ, ২৩ এপ্রিল : দলীয় প্রার্থী পরিমল শুক্লবৈদ্যের হয়ে প্রচার চালাতে গিয়ে সোমবার তিনি কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। সেইসঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসকে ‘ছিন্নমূল’ বলেও কটাক্ষ করেন তিনি। দুই বিরোধী শিবিরকে নিশানায় রেখে তিনি বলেন, জনতার দরবারে ইতিমধ্যে অস্তিত্ব হারিয়ে ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এখন ব্যানার-পোস্টার সর্বস্ব দলে পরিণত হয়েছে। আর ২৬-এর নির্বাচনের পর তৃণমূল কংগ্রেসের অস্তিত্ব থাকবে শুধু ‘ভিজিটিং কার্ড’-এ। তখন ঘাসফুল শিবিরের নেত্রী সাংসদ সুস্মিতা দেব যোগ দেবেন বিজেপিতে।
দলীয় কর্মী-সমর্থকদের নিয়ে এদিন শিলচর সৎসঙ্গ আশ্রম রোড এলাকার তপোবন নগর, বিশফুটি অঞ্চলে প্রচার চালান দিলীপবাবু। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি-সহ ভোট প্রার্থনা করেন শিলচর লোকসভা আসনের বিজেপি প্রার্থী পরিমল শুক্লবৈদ্যের জন্য। পরে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, সুরাটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দলীয় প্রার্থীর জয় দিয়ে শুরু হয়েছে বিজেপির বিজয় সংকল্প যাত্রা। একথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘চারশো পার’-এর সংকল্প নিয়ে শুরু হয়েছিল যে যাত্রার, সেটা থামবে সাড়ে চারশোর ঘর পেরিয়ে। সুরাটের ঘটনা বহন করছে এর-ই ঈঙ্গিত। এরপর-ই তিনি দাবি করেন, এবার বরাকের দু’টি আসনেই জিতছে বিজেপি। শিলচরে জয়ের ব্যবধান হবে ৩ লক্ষ। করিমগঞ্জের প্রার্থী জিতবেন ১ লক্ষ ভোটের ব্যবধানে। এই দাবির স্বপক্ষে রবিবার শিলচরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর রোড শো-তে জনপ্লাবনকে যুক্তি হিসেবে দাঁড় করেছেন দিলীপ। বলেছেন, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর রোড শোতে রেকর্ড জনসমাগম স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, এবারও সাধারণ মানুষ বিজেপিকে-ই চাইছেন। এসব কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, শিলচরে এবার দূরবিন লাগিয়েও বিরোধী দলকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ফলে, লড়াইও সেভাবে জমে উঠছে না। তবে কিছু করার-ও নেই। এক প্রশ্নে তিনি জানান, ভোটের দিন সাধারণ মানুষকে বুথমুখী করতে এবারও উদ্যোগ নেবে দল। অন্তত প্রথম পর্যায়ের ভোট গ্রহণ পর্বে যে চিত্র ধরা পড়েছে সর্বভারতীয় স্তরে, অসম তথা বরাক উপত্যকায় এর পুনরাবৃত্তি ঘটবে না বলেই দাবি করেন দিলীপ। বলেন, প্রাকৃতিক প্রতিকূলতার জন্য কিছু জায়গায় ভোট কম পড়েছে, তবে অসমে সেটা ঘটেনি। দ্বিতীয় পর্যায়েও ঘটবে না। এদিন নির্বাচনী প্রচারে উপস্থিত ছিলেন নান্টু পাল, রাজদীপ চক্রবর্তী, শশীন্দ্র দাস, অনন্ত দাস, গোপিকারঞ্জন ভট্টাচার্য, দেবমালা দাস প্রমুখ।