আজ, মাতৃভাষা শহিদ দিবস, বরাকজুড়ে চলছে স্মরণানুষ্ঠান
আশু চৌধুরী, শিলচর।
বরাক তরঙ্গ, ২১ জুলাই : আজ ২১শে জুলাই, ১৯৮৬ সালে এই তারিখে মাতৃভাষা বাংলা রক্ষার লড়াইয়ে আরও তরতাজা দু’টি প্রাণ দিতে হয়েছে বরাকবাসীর। স্বাধীনতার এক দশক পের হতে না হতেই বরাকের বাঙালিরা তাঁদের মুখের ভাষা রক্ষা করতে মরণপণ লড়াই করতে হয়েছে। ভাষিক আগ্রাসনের মোকাবিলা করতে গিয়ে পনেরো জন প্রাণ দিয়েছেন। এরমধ্যেই ২১শে জুলাইর দুই বীর শহিদ রয়েছেন।
ভাষা সার্কুলারের পর অসম সরকার সেবা সার্কুলার জারি করেছিল। এর প্রতিবার ফের শুরু বরাকজুড়ে। ভাষা রক্ষার অধিকারের আন্দোলন চলাকালীন সফররত তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী প্রফুল্লকুমার মহন্তের বিরুদ্ধে করিমগঞ্জে বিক্ষোভকারীদের ওপর পুলিশের গুলি চালনায় দু’টি তরুণ প্রাণ দিব্যেন্দু দাস ওরফে যিশু ও জগন্ময় দেব ওরফে জগন অকালে নিভে যায়। আর এই দিনটি ছিল ১৯৮৬ সালের ২১শে জুলাই।
বরাক উপত্যকার মানুষের কাছে এই দিনটি তাই মাতৃভাষার অধিকার রক্ষা আর সেই সঙ্গে এই উপত্যকার মানুষের সামাজিক-সাংস্কৃতিক আত্মপরিচয়ের ওপর ক্রমাগত আক্রমণ প্রতিহত করার সংকল্পে নতুন করে অঙ্গীকার গ্রহণের তাৎপর্য বয়ে আনে।
কাছাড়, হাইলাকান্দি ও করিমগঞ্জের তিনটি জেলা নিয়ে গঠিত বরাক উপত্যকা কৌশলগত ভাবে অবস্থিত ভারতের অসমের দক্ষিণতম অংশে। তবে এর কৌশলগত অবস্থান সত্ত্বেও, বরাক উপত্যকা গঠিত হওয়ার পর থেকেই আর্থসামাজিক ও অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রে অনুন্নত থেকে যায়। রাজ্য সরকার উদাসীন ছিল বলেই এখনও পর্যন্ত উপত্যকার উন্নয়নের বিষয়টি উদ্বিগ্ন ছিল। সরকারের এই মনোভাব উপত্যকার দিকে সাধারণভাবে জনগণকে ক্ষুব্ধ করে। এর ফলে বহু বছর ধরে এখানকার বাঙালিরা বাংলা ভাষা ও ঐতিহ্য সংরক্ষণের জন্য লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে।